রাজা রামমোহন রায় এসএমএসে আমায় মাফ করে আশীর্বাদ দিয়েছেন, বললেন বাবুল
নিজস্ব প্রতিবেদন: সতীদাহ প্রথা রদ করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। টলিউডে কলাকুশলীদের নিয়ে 'খোলা হাওয়া' সংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই বাবুলের ইতিহাসজ্ঞান নিয়ে চলছে তামাশা। নিজের বক্তব্যের সাফাই দিতে গিয়ে এবার আজব ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপি নেতা।
'খোলা হাওয়া'র আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বাবুল সুপ্রিয় এদিন বলেছেন, ''সতীদাহ প্রথার বিলোপ, বিধবা বিবাহ চালু করেছিলেন বিদ্যাসাগর। তাঁর জন্মদিনে একটা সংগঠন শুরু হচ্ছে, এটা অনেক বড়ো ব্যাপার।''
বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতেই বাবুল টুইটারে বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, হা হা। সত্যি একটা ভুল তো করেছি। বিদ্যাসাগর নিয়ে বলবার সময়ে বিধবা বিবাহ বলতে গিয়ে বিধবা বিবাহ তো বলেছি, তার সঙ্গে সতী প্রথার অবলুপ্তিও জুড়ে দিয়েছি। এটাকে বলে 'স্লিপ অফ টাং (মুখ ফসকে বলা)। এবার কী হবে বলুন তো!
মস্ত ভুল করেও অনমনীয় হতে নারাজ বাবুল সুপ্রিয়। লিখেছেন, কত মানুষ কত কিছু লিখেছে, বিশেষ করে বামেরা।
এরপরই রসিকতা গিয়ে রাজা রামমোহন রায়কে টেনে এনেছেন বাবুল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ''যদিও রাজা রামমোহন রায় ইতিমধ্যেই আমাকে মাফ করে দিয়ে হাসিমুখে এসএমএস করেছেন। আর্শীবাদও করেছেন। আপনারাও করে ফেলুন বলতে ইচ্ছা করছে কিন্তু পারবেন কি?''
বাবুল আরও বলেন,''তবে আর যাই করি না কেন, মানুষের ক্ষতি কিন্তু করি না। বৃষ্টির দিনে চা-তেলেভাজার সঙ্গে আলোচনা করার মতো একটা বিষয় তো পেলেন।''
যাদবপুরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে এনআরসি পুরো অর্থ জানতে চেয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সে কথা মনে করিয়ে বিজেপি নেতার খোঁচা, যাদবপুরে এনআরসি-র পুরো অর্থ জিজ্ঞেস করার সঙ্গে এটার কোনও সম্পর্ক নেই।
এর আগে বিদ্যাসাগরকে সহজপাঠের রচয়িতা বলে তামাশার পাত্র হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। পরে দুঃখপ্রকাশও করেননি। বাবুল অবশ্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু সংযত প্রতিক্রিয়া দিতে পারলেন না বাবুল সুপ্রিয়।