‘বাতাবি নেবু’ পছন্দ না করলেও চিনি খেতে ভালবাসে এই খুদে কাঠবিড়ালি
বিছানার উপরে কাঠবিড়ালির বাসা। গাছের পাতা, গুটি কয়েক ডাল দিয়ে তৈরি বাসা।
এক ব্যক্তি ঘরের ঢুকতেই দেখেন ওই বাসার ভিতর ঘুমিয়ে কাঠবিড়ালির দুটি বাচ্ছা।
অদ্ভুত পরিস্থিতির মুখে পড়েন ওই ব্যক্তি। ফোন করেন বন দফতরে।
বন দফতরের আধিকারিক ক্রিস্টিনা এবং মাইকেল এসে দেখেন, যেখানে এই বাসা তৈরি হয়েছে, মা কাঠবিড়ালি তাদের কাছে না-ও আসতে পারে।
তবুও চেষ্টা করা হয় মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার। কিন্তু তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি হল।
মা কাঠবিড়ালির দেখা মিলল না। দেখভালের অভাবে মৃত্যু হয় একটি বাচ্ছার।
এরপর আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ক্রিস্টিনা এবং মাইকেল অন্য বাচ্ছাটির দত্তক নিয়ে দেখভাল শুরু করে দেন।
বাচ্ছাটির নাম দেওয়া হয় থাম্বেলিনা।
যে ভাবে নিজেদের সন্তানকে লালন-পালন করে বড় করে তুলেছেন থাম্বেলিনার ক্ষেত্রেও কোনও ত্রুটি ছিল না।
পরম স্নেহে ‘মানুষ’ হতে লাগে সে। ওই দম্পতি তাকে সন্তান হিসাবে
পরিচয় দেন সবার কাছে। এখন কাঠবিড়ালি অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে। কাঠাবিড়ালি পেয়ারা, দুধ-ভাত, বাতাবি নেবু খায় কি-না জানা নেই, কিন্তু ওই দম্পতি জানিয়েছেন চিনি, মটরশুঁটি, অ্যাভোকাডো খেতে ভালবাসে।