Tarakeshwar Howrah Local: ট্রেনেই আইবুড়ো ভাত ট্রেনের বন্ধুদের, তারকেশ্বর লোকালে পাত পেড়ে ১৯ পদ খেলেন পাত্র!
বিধান সরকার: চলছে বিয়ে মরসুম, আর বিয়ে মানেই তো নানা অনুষ্ঠান। রীতি মেনে পাত্র-পাত্রীকে বিয়ের আগে খাওয়ানো হয় আইবুড়ো ভাত। হবু বর-বউয়ের জন্য আত্মীয়স্বজন বাড়িতে আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করে থাকে।
তবে এদিন দেখা গেল একটা অন্যরকম আইবুড়ো ভাতের আয়োজন। অভিনব এই আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করা হয়েছিল চলন্ত ট্রেনে। ডাউন তারকেশ্বর-হাওড়া লোকালে!
প্রতিদিন ট্রেনে চড়ে তারকেশ্বর থেকে হাওড়া আসেন অনেকেই। হাওড়া স্টেশনে নেমে চলে যান যে যার গন্তব্যে। আবার দিনের শেষে হাওড়া থেকে একইভাবে বাড়ি ফেরা। রোজনামচার এই জীবনে নিত্য আসা-যাওয়ার পথে এমন অনেক সমবয়সী-অসমবয়সীদের মধ্যে আলাপে ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। যা হয়ে যায় একটা পরিবারের মতো।
এভাবেই যাতায়াতের সূত্রে বাহিরখণ্ডের অতনু শাসমলের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ট্রেনের পিন্টু,সঞ্জয়, মিলন, রাজু, নির্মল, গোবিন্দ, মানিক সহ বেশ কিছু যাত্রীদের। সকলেই সকাল ৯টা ৩২-এর ডাউন তারকেশ্বর লোকালের প্রথম ভেন্ডারের যাত্রী।
এখন আগামী ১৬ ডিসেম্বর অতনুর বিয়ে হরিপাল নিবাসী পাত্রীর সঙ্গে। বিয়েতে ট্রেনের বন্ধুদেরও নিমন্ত্রণ করেছেন অতনু। আর এবার তাই বন্ধুকে সারপ্রাইজ দিতে ট্রেনেই আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করেন ট্রেনের বন্ধুরা।
ফুলের মালা, বেলুন দিয়ে ভেন্ডার কামরা সাজানো হয়। তারপর হবু বরকে ধুতি-পাঞ্জাবি পরিয়ে, সানাই বাজিয়ে, উলু ধ্বনি দিয়ে ১৯ পদের আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো হয়। ভাত, মাছ, মাংস, তরিতরকারি, দই, মিষ্টি সহ একেবারে এলাহি আয়োজন। সব বাড়ি থেকেই রান্না করে আনা।
অতনুর বন্ধু পিন্টু জানান, এই বিষয়ে অতনু আগে থেকে কিছুই জানতেন না। ওদিকে সহযাত্রীদের কাছ থেকে এরকম একটা সারপ্রাইজ গিফট পেয়ে আপ্লুত অতনু। বন্ধুদের এমন কাণ্ডে স্বভাবতই খুব খুশি হবু বর।