করোনা থেকে ঝড়-বাদলের দিন, বসিরহাটের একমাত্র মুশকিলআসান বাদল অ্যান্ড কোম্পানি
করোনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য, বসিরহাটেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তে সংখ্যা। আতঙ্কের ছবি গোটা বসিরহাট জুড়েই। এলাকায় কেউ কারোনাতে আক্রান্ত হলে পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, এলাকা মুখোই হচ্ছেন না প্রতিবেশিরা। অভিযোগ, সময়মতো প্রশাসনের সাহায্য ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। আর এমন ঝড়-বাদলের দিনে মুসকিলআসান বাদল,
বাদলের কানে গেলেই সব সমস্যার সমাধান। করোনা আবহে বাদলই বসিরহাটের ত্রাতা। বসিরহাটে সমাজসেবী হিসাবে বেশ নাম ডাক সুরজিৎ মিত্রের। তবে বাদল নামেই এলাকায় বেশি পরিচিত। সারাবছরই বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করেন তিনি। সমাজসেবী তকমা লাগিয়ে অনেকই ঘুরে বেড়ান। কিন্তু বিপদের সময়ে বোঝা যায় কে প্রকৃত সমাজসেবী।
তকমার সঙ্গে কাজের সামঞ্জস্য রেখে করোনা মহামারীতে একইভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে চলেছেন সুরজিত মিত্র ওরফে বাদল। করোনায় আক্রান্তদের নিয়ে সমস্যা? বাদলের কানে খবর পৌঁছেলেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দলবল নিয়ে ছুটে যান সেখানে। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সবরকম সাহায্য হাত বাড়িয়ে দেন তিনি।
সম্প্রতি বাদলের দুটি কাজ সাড়া ফেলেছে বসিরহাটে। এখানকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৬২বছরের এক ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে পড়ে ছিল। সবার কাছে খবর ছিল। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোন লোক নেই। খবর পেয়েই হাজির হন বাদল। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভর্তি করাতে দেরি হওয়াতে বাঁচেনি সেই বৃদ্ধকে।
এরপর বসিরহাট থানার সামনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে করোনায় মৃত্যু হয় এক মহিলার। দুপুর পর্যন্ত মৃতদেহ পড়ে ছিল বাড়িতেই। কেউ এগিয়ে আসে নি। খবর পেরে হাজির হয় বাদল ও তার সঙ্গীরা। পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে পিপিই কিট পরে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করে সৎকার করে বাদল এন্ড কোম্পানি। বাদলের এহেন কাজকে কুর্নিশ জানাচ্ছে বসিরহাটের সবস্তরের মানুষ।