Bhuban Badyakar: নতুন বছরে বায়না টানতে কুমোরটুলির ভরসা `বাদাম কাকু`, লতা-সন্ধ্যার পাশেই ঠাঁই ভুবনের
অয়ন ঘোষাল: বাদাম কাকু ওরফে ভুবন বাদ্যকর এবার কুমারটুলিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মেগা ভাইরাল 'কাঁচা বাদাম' গান। সেই ভুবন বাদ্যকরকে সামনে রেখেই পয়লা বৈশাখে হালখাতার দিন বায়না টানতে মুখিয়ে আছে কুমারটুলি।
প্রায় ৩০০ বছর আগের কথা। বিলেত ফেরত লাইভ আইডল মেকার (জীবন্ত মানুষকে সামনে বসিয়ে যাঁরা তাঁর আবক্ষ মূর্তি বানান) গোপেশ্বর পাল শোভাবাজার ঘাটে প্রতিমা শিল্পের হাব তৈরি করেন। কৃষ্ণনগর, মুর্শিদাবাদ ও চন্দননগর থেকে শিল্পীদের এখানে ডেকে আনা হয়।
সেই থেকেই পুরনো সিজন শেষ এবং নতুন সিজন শুরুর আগে, চৈত্র মাসের দোল পূর্ণিমার আগের মঙ্গল বা শনিবার ব্রহ্মা ও কালীর পুজো করা কুমারটুলির রেওয়াজ। এই পুজোর দিন তাঁদের কাজের নমুনা বায়নাকারীদের কাছে হাজির করেন কুমারটুলির শিল্পীরা।
অনেকটা হাইটেক কর্পোরেট প্রোমো বা টিজারের মতো। আর এই টিজার তৈরি হয় টিপিক্যাল কুমারটুলির নিজস্ব স্টেটমেন্টে। অর্থাত মৃৎশিল্পীরা দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নিজেদের প্রতিভা উজাড় করে বানিয়ে ফেলেন খ্যাতনামা মানুষের নিখুঁত প্রতিমূর্তি। যে ট্র্যাডিশন শুরু করে গিয়েছিলেন স্বয়ং জি পাল।
সেই ট্র্যাডিশন মেনেই এবারের ব্রহ্মা ও কালী পুজোয় কুমারটুলি নিবেদন করছে সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তী শিল্পী লতা মঙ্গেশকর, সুররাজা বাপ্পি লাহিড়ী এবং কিংবদন্তী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। তবে আসল চমক অবশ্যই ভুবন বাদ্যকর।
ভাইরাল এই মানুষটির তুমুল জনপ্রিয়তার কথা ভেবে তাঁকে এবার বিশেষভাবে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে প্রথিতযশা শিল্পীদের ঠিক পাশেই। আসলে বিগত ২ বছরে কোভিড মন্দায় কুমারটুলির অর্থনীতিতে ভাঁটা। ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ায় এবার হালে পানি ফিরবে বলে আশা। আর সেখানেই মরিয়া কুমারটুলির আশা-ভরসা বাদাম কাকু।