কেন্দ্রের ছাড়পত্র মেলার পর আসছে সস্তার চার চাকা, লিটারে ৩৬ কিলোমিটার মাইলেজ
সস্তায় পরিবহণের লক্ষ্যে কোয়াড্রিসাইকেলের ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অটোর আকারে অথচ গাড়ির মতো চারটি চাকা রয়েছে এই ধরনের বাহনে। কিন্তু ছোট গাড়ির চেয়ে গতি ও ইঞ্জিনের শক্তি অনেকটাই কম।
বিদেশে কোয়ড্রিসাইকেলের বহুল প্রচলন রয়েছে। কিন্তু এদেশে ছিল না। সামনের বছরেই আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে বজাজের কোয়াড্রিসাইকেল।
২০১২ সালে আত্মপ্রকাশের পর বাণিজ্যিকভাবেই ব্যবহৃত হত বজাজের কোয়াড্রিসাইকেল 'কিউট'। কারণ, তখন এদেশে সুরক্ষাবিধির কারণে ব্যক্তিগত কাজে কোয়াড্রিসাইকেল চালানোর অনুমতি ছিল না। এবার আইনের পরিবর্তনের জেরে উঠে গিয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
নতুন বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই ছোট যান বাজারে আনছে বজাজ। এক্স শোরুম দাম ২.৬০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ টাকার মধ্যে থাকতে পারে।
ছোট গাড়িতে বড়জোর প্রতি লিটারে ২০-২২ কিলোমিটার মাইলেজ থাকে। তবে বজাজের এই খুদে চারচাকার যানের মাইলেজ লিটারে ৩৬ কিলোমিটার।
তবে যানটির গতি অনেকটাই কম। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার বেগে চালাতে পারবেন চালক।কিউটে থাকবে ২১৫ সিসির পেট্রোল ইঞ্জিন। বলে রাখি অটোয় থাকে ১৯৯ সিসির ইঞ্জিন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মেক্সিকোতে কিউট রফতানি করে বজাজ।
বজাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব বজাজ বলেন, ''শহুরে এলাকায় সাধ্যের মধ্যে নিজস্ব যান কিউট। যাত্রী সুরক্ষার জন্য সিট বেল্ট ও অন্যান্য নিরাপত্তা বিধি মানা হয়েছে। দ্বিচক্রযানের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে এটি''।
পেট্রোল ছাড়াও ইলেকট্রিক মডেলেও কিউট আসতে চলেছে। মারুতি সুজুকির চেয়ে একটু বেশি দাম হলেও মাইলেজ বেশি।
বলে রাখি, বজাজই ভারতে প্রথম ব্যক্তিগত ব্যবহারে কোয়াড্রিসাইকেল আনছে। ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স হলেই এই যান চালানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার।