সূরজ-গৌরবকে দলে টেনে পুরুলিয়ায় বিজেপির কোমর ভাঙল তৃণমূল
গত পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহলে অপ্রত্যাশিত ফল করেছিল বিজেপি। বিশেষ করে পুরুলিয়ায় একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে শাসক দলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল। সেই পুরুলিয়ায় এবার জোর ধাক্কা গেরুয়া শিবিরের!
বিজেপির অভাবনীয় ফলের পর বজরং দলের পোক্ত সংগঠনকে কৃতিত্ব দিয়েছিল রাজনৈতিক মহল। অনেকেই বলেছিলেন, শাসক দলকে বেকায়দায় ফেলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব দল বজরং। সেই বজরং দলের পুরুলিয়ার সংযোজক ও সহ-সংযোজক বুধবার নাম লেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
এদিন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নেন পুরুলিয়ায় বজরং দলের সংযোজক সূরজ শর্মা ও সহ-সংযোজক গৌরব সিং। তাঁদের সঙ্গে বজরং দলের আরও কয়েকজন কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
রাম নবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল-সহ একাধিক মামলা হয়েছিল সূরজ ও গৌরবের বিরুদ্ধে। ১১৪ দিন জেলও খেটেছেন তাঁরা। জামিনে মুক্ত পাওয়ার পরই শিবির বদলে নিলেন সূরজ-গৌরব। কয়েকদিন ধরেই অবশ্য ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন গৌরব সিং। একটি পোস্টে লিখেছিলেন, 'রামের নামে রাজনীতি করে কামিয়ে নিচ্ছে নেতারা। আর রামভক্তরা পরিবারের মুখে দুবেলা ভাত তুলে দিতে পারছে না'।
সূত্রের খবর, পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন গৌরব ও সূরজ। তাঁদের তৃণমূলে যোগদানের ফলে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বজরং দলের এক নেতা জানালেন, সূরজ ও গৌরবের পাশে দাঁড়াননি বিজেপি নেতারা। মামলা চলাকালীন একটিবার খোঁজ নিতেও আসেননি কেউ। সেই উষ্মা থেকেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলেন। এর জেরে পুরুলিয়ায় বজরং দলের শক্তিও তলানিতে ঠেকল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, গৌরব ও সূরজের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে পুরুলিয়ায়। একটা চালেই পুরুলিয়ায় বিজেপির কোমর ভেঙে দিল তৃণমূল। সমর্থকদের পাশে না দাঁড়ানোর খেসারত দিতে হল বিজেপিকে। লোকসভার আগে এটা তৃণমূলের পক্ষে অ্যাডভান্টেজ বলে মনে করছেন অনেকেই।