জইশের ভবন অক্ষত রেখেও ভিতরে ঢুকে এভাবেই ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ইজরায়েলি বোমা
বালাকোটে বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে উপগ্রহ চিত্র। তাতে দেখা যাচ্ছে, এয়ার স্ট্রাইকের পরও অক্ষত রয়েছে মাদ্রাসাটি। তবে বায়ুসেনার দাবি, লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে এয়ার স্ট্রাইক।
সূত্রের খবর, সরকারের কাছে উপগ্রহ চিত্র ও রাডারের ছবি তুলে দিয়েছে বায়ুসেনা। দাবি করা হয়েছে, বোমা লক্ষ্যে আঘাত হানতে ৮০ শতাংশ সফল। বাকিটা নির্ভর করছে সম্ভাব্যতার উপরে। বায়ুসেনার প্রধান বিএস ধানোয়া স্পষ্ট করেন, বালাকোটে আঘাত না হানলে পাকিস্তান পাল্টা এপারে যুদ্ধবিমান পাঠাত না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর প্ল্যানেট ল্যাবস ইংক নামে একটি সংস্থা উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করে দাবি করেছে, এয়ার স্ট্রাইকের পরও বালাকোটে অক্ষত রয়েছে মাদ্রাসা চত্বরের ৬টি ভবন। উপগ্রহ চিত্রে ৭২ সেন্টিমিটারের ছোট বস্তুও ধরা পড়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিলের ছবির সঙ্গে বর্তমান ছবির কোনও ফারাক চোখে পড়েনি।
তবে কি সত্যিই কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি? কিন্তু জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ছোট ভাই আম্মারকে পেশোয়ারের একটি সভায় বলতে শোনা গিয়েছে, শত্রু দেশ এসে জিহাদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে গিয়েছে।
ভারত সরকার জানিয়েছিল, ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান থেকে হাজার কিলোগ্রামের বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। আর তা সঠিক নিশানাতেই আঘাত হেনেছে। তাহলে ব্যাপারটা কী?
প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রের খবর, বালাকোটের পাঁচটি ভবনের জন্য স্পাইস ২০০০ গ্লাইড বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এই ইজরায়েলি বোমাটি বাইরে ফাটে না?
ছাদে ফুটো করে স্পাইস ২০০০ ঢুকে পড়ে অন্দরে। আর তারপরই ভিতরের সব কিছু গুঁড়িয়ে দেয়। আর তাই গোটা ভবনটি অক্ষত থাকলেও ভিতরে থাকা কারও আস্ত থাকা অসম্ভব।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি রাডার এড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ২০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল ১২টি মিরাজ ২০০০। একটি বিমানে বিভ্রাট দেখা যাওয়ায় সেটি বোমা ছুড়তে অক্ষম হয়। ওই বিমানটি প্রত্যাবর্তন করে।
বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান জইশের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় স্পাইস ২০০০। ফলে বাইরে থেকে ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ভিতরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ইজরায়েলি বোমা।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পোখরানে পরীক্ষা করা হয়েছিল স্পাইস ২০০০ বোমা। আর ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কাঠামোর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কাঠামোর মাথায় ছেদ করে ভিতরে ঢুকে গিয়েছে সেটি। জইশের মাদ্রাসেও একইভাবে হানা দিয়েছে ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র।