পেটের সমস্যা দূর করার জাদুকাঠি আছে কলাপাতায়, গায়ে ঘেঁষবে না রোগ

Mon, 18 Jan 2021-12:22 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার। স্টিলের থালা বা কাচের প্লেটেই খাওয়া অভ্যেস? অভ্যেস বদলান। ফিরিয়ে আনুন পুরনো রীতি। কলাপাতায় খান। বিপদজনক  রোগ আপনার ধারে কাছে ঘেঁষবে না।

ইলিশ পাতুরি হোক বা ভেটকি পাতুরি। কলাপাতায় না মুড়লে রেসিপি অসম্পূর্ণ। মাছের গুণ ও কলাপাতার গুণ মিলেমিশে এই পদ লাজবাব। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন,কলাপাতার রসে রয়েছে প্রচুর গুণ। আর সেই রস খাবারের সঙ্গে মিশলে ভরপুর পুষ্টি পৌঁছবে আপনার শরীরের অন্দরমহলে। তার জন্য করতে হবে না কোনও অতিরিক্ত পরিশ্রম।  

কলাপাতার রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্যাসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ট্যানিন। টনিকের কাজ করে এই রস। কিন্তু অবশ্যই, কলাপাতার রস করে খাওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। শুধুমাত্র, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার কলাপাতায় খেলেই কেল্লা ফতে। কিন্তু মনে হতে পারে, ফ্ল্যাট বাড়ি কালচারে কলা গাছ কোথায় পাবেন! দিনের প্রতি খাবার কলা পাতায় সম্ভব না হলেও যেকোনও একটা বা দুটো সময়ের খাবার খাওয়ার সময় কলাপাতায় খাওয়ার অভ্যাস করুন। 

 

কলাপাতায় খেলে পেটে রোগ, এবং সেখান থকে জ্বর সর্দি, পায়খানার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।  আপনার ধারেকাছে ঘেঁষবে না রোগ। দক্ষিণ ভারতে এখনও প্রচলিত রয়েছে কলা পাতায় খাওয়া। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিসে আশ্চর্য উপকার। কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশা, রক্তাল্পতা, চর্মরোগে কলাপাতার রস ম্যাজিকের মতো কাজ করে। লিভারের সমস্যা সারায়। ব্লাড প্রেশার কমায়। টিবি, আন্ত্রিকের মতো রোগেও ভাল কাজ করে কলাপাতার রস। এমনই বলছেন চিকিত্সকরা।

স্বাস্থ্যকর

কলাপাতায় রয়েছে পলিফেনল। প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কলাপাতায় খেলে খাবারের সঙ্গে পলিফেনল মিশে পুষ্টি জোগায়।

ফ্লেভার

কলাপাতার গায়ে মোমের মতো একটা আবরণ থাকে। চমত্কার একটা ফ্লেভার থাকে। খাবারের সঙ্গে মিশে খাবারকে আরও টেস্টি করে তোলে।

ইকো-ফ্রেন্ডলি

প্লাস্টিক বা কাগজের প্লেটের চেয়ে কলাপাতা অনেক বেশি ইকো-ফ্রেন্ডলি। ব্যবহারের পর খুব অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যায়।

স্বাস্থ্যসম্মত

খাওয়ার আগে কলাপাতা খুব বেশি ধোয়ার প্রয়োজন নেই। অল্প একটু জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।

স্টিলের থালা হোক বা কাচের প্লেট, জল-সাবান দিয়ে ধুতে হয়। খুব ভাল করে ধুলেও সাবানের রাসায়নিক প্লেটে লেগে থাকতে পারে। কিন্তু কলাপাতায় এসবের প্রয়োজন নেই। তাই খাবারও থাকে রাসায়নিকমুক্ত।

প্র্যাকটিকাল

আকারে বড়। খাওয়ার সময় অনেক কিছু একসঙ্গে কলাপাতায় নেওয়া যায়। মোমের মতো আবরণ থাকায় ওয়াটারপ্রুফ। তাই ঝালে-ঝোলে-অম্বলে কলাপাতা ইজ দ্য বেস্ট। 

আজ থেকেই বাদ দিন স্টিলের থালা, কাচ, কাগজ বা প্লাস্টিকের প্লেট। খাবার খান কলাপাতায়। স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিকর।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link