ইলিশ নিয়ে গবেষণায় বড় সাফল্য, প্রজনন বাড়িয়ে কমতে পারে মাছের দাম
লিশ মাছের জিনবিন্যাস বা জিনোমের রহস্য উদ্ঘাটন করলেন বাংলাদেশের ৪ বিজ্ঞানী।
ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ দল বিজ্ঞানী পৃথকভাবে কাজ করলেও তাঁরা এক সঙ্গে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছেন। গত বছরই ইলিশ মাছের ভৌগলিক নির্দেশক সত্ত্ব লাভ করেছিল বাংলাদেশ।
গত বছরই ইলিশ মাছের ভৌগলিক নির্দেশক সত্ত্ব লাভ করেছিল বাংলাদেশ। এবার ইলিশে জিনরহস্য উদ্ঘাটনের ফলে তার উত্পাদন ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট বোঝা আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
প্রত্যেক প্রাণীর দেহের শারীরিক গঠন ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট লুকিয়ে থাকে তার ক্রোমোজোমের সুনির্দিষ্ট রাসায়নিক শৃঙ্খলের মধ্যে। এই রাসায়নিক শৃঙ্খলকে বলে জিনোম।
ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ জিনোম প্রকাশিত হওয়ায় মাছটির সংরক্ষণ, উত্পাদন ও গুণগত মানোন্নয়ন আরও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ময়মনসিংহ কৃষি বিদ্যালয়ের গবেষকদলটির প্রধান ডঃ সামসুল আলম জানান, পূর্ণঙ্গ জিনোম শৃঙ্খল প্রকাশিত হওয়ায় এবার জানা যাবে কখন কোথায় ডিম দেবে ইলিশ মাছ। এছাড়া গোটা পৃথিবীতে কোথায় কত ইলিশ রয়েছে জানা যাবে তাও।
একদিকে যেমন কোথায় কতটা ইলিশ ধরা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করা যাবে তেমনই কোথাও ইলিশের জন্য সংরক্ষিত জলাভূমি তৈরির প্রয়োজন রয়েছে কি না তাও জানা যাবে।
এছাড়া বাংলাদেশের ইলিশ জিনগত বৈশিষ্টে স্বতন্ত্র কি না জানা যাবে তাও। গবেষণা সফল হলে কমতে পারে ইলিশের দামও।