রাজ্যে এই প্রথম ভালুক গণনা করতে চলেছে বন দফতর! ডিসেম্বরেই শুরু হবে কাজ...
গত বছরই ভালুক-মানুষ সংঘাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি, ভালুকের আক্রমণে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন।
মালবাজার শহরে ভালুক একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। বাড়িটিতে অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। দিনকয়েক আগেই মেটেলি, মালবাজার, মাদারিহাট-সহ বেশ কয়েকটি চা-বাগানে ভালুকের দেখা মিলেছিল। এর মধ্যে গত ১৫ দিনেই ৬টি ভালুক উদ্ধার করেছে বন দফতর! আটিয়াবাড়ি চা-বাগান থেকে ১টি, লতাবাড়ি থেকে ৩টি, মেন্দাবাড়ি বনবস্তি থেকে ২টি। এর মধ্যে ১টি ভালুককে বেঙ্গল সাফারিতে রাখা হয়েছে। বাকি ৪টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ডুয়ার্সের মালবাজারে এখনও বনকর্মীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে ভালুক। তবে প্রাণীটির অস্তিত্ব রক্ষার্থেই ভালুক গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। এজন্য মূর্তি টেন্ট ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রশিক্ষণ-শিবিরের পরে ডিসেম্বরের মধ্যেই এই গণনা শুরু হবে বলে জানিয়েছে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ।
গোটা ডুয়ার্স জুড়েই এই গণনা করা হবে। বিশেষ এক পদ্ধতিতে এই গণনা করা হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
বিশেষ এই পদ্ধতিটি এরকম: যে সমস্ত জায়গায় ভালুক দেখা গিয়েছে, সেই সব জায়গায় প্রথমে খাঁচা পাতা হবে। খাঁচায় ভালুকের পছন্দের খাবার দেওয়া হবে। সেই খাবার খেতে এলেই ধরা পড়বে ভালুক। আর তাতেই ভালুকের সংখ্যা জানা যাবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
সংখ্যা নির্ণয়ের পরে ভালুকের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে বন দফতর জানিয়েছে। এতে খুশি পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের বক্তব্য-- এর ফলে মানুষ এবং ভাল্লুকের সংঘাত কমবে।