সারাদেশের নানা জায়গায় রঙে রঙে রংমশাল জ্বলবে এই ক`দিন
হোলি ভারতের অনন্য এক উৎসব। সারাদেশে রঙের বন্যা বয়ে যায় এ সময়। এরই মধ্যে বিশেষ কিছু জায়গা হোলি খুবই বিশিষ্ট। যেমন মথুরা। এখানে হোলির সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের সম্পর্ক রয়েছে। এখানের দ্বারকাধীশ মন্দিরে হোলির দিন শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ পুজোও হয়।
রং-উৎসব বিশিষ্ট জয়পুরেও। এক সময়ে এখানে হাতির পিঠে চেপে হোলি খেলার রেওয়াজ ছিল। এখানকার রাজপরিবারে হোলির বিশেষ মর্যাদা।
রাধার গ্রাম বরসানা। এই গ্রামে দারুণ হোলি। এ অঞ্চলে শ্রীকৃষ্ণের গ্রামের ছেলেদের এদিন লাঠিপেটা করেন রাধার গ্রামের মেয়েরা। একে বলে লাঠমারা হোলি।
অমৃতসরেও হোলির গুরুত্ব দারুণ। অমৃতসরে দু'টি স্বর্ণমন্দির। এর মধ্যে একটি মন্দির দুর্গার। সকাল থেকে বহু ভক্ত এই মন্দিরের হোলি-উৎসবে যোগ দেন।
বৃন্দাবনে মহাসমারোহে পালিত হয় হোলি। এখানকার বাঁকাবিহারী মন্দিরে, গোপীনাথ মন্দিরে বিরাট পুজো হয়। বৃন্দাবনের রং-উৎসব দেখতে দেশ বিদেশ থেকে মানুষ ভিড় জমান।
বারাণসীতেও হোলির বিশেষ মর্যাদা। এখানে ৫ দিন আগে থেকেই হোলি শুরু হয়ে যায়।
উদয়পুরে হোলি শুরু হয় হোলিকা দহন দিয়ে। হোলির আগের দিন সন্ধ্যায় এখানে আগুন জ্বালান স্থানীয় রাজপরিবারের সদস্যরা। এটা খুবই বড় উৎসব এখানে। পরদিন হোলিও পালিত হয় বিশেষ বর্ণময়তার সঙ্গে।