অভাবেই বন্ধ স্কুল, সেই রিক্সা চালকের মেয়েই মিস ইন্ডিয়া রানার্স আপ
এবারে মিস ইন্ডিয়া হয়েছেন মানসা বারাণসী। মানসা বারাণসীর সঙ্গে এবার মিস ইন্ডিয়া রানার্স আপ হন উত্তরপ্রদেশের মান্যা সিং। এবার সেই মান্যা সিংয়ের জীবনের টানাপোড়েন প্রকাশ্য়ে উঠে আসতেই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
মিস ইন্ডয়া রানার্স আপ হওয়ার পর মান্যা সিং জানান, অভাবের জেরে এক সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর স্কুলে যাওয়া। রিক্সা চালিয়ে বাবা সংসার চালাতেন। সামান্য উপার্জনে মেয়ের পড়াশোনা চালানোর ক্ষমতা ছিল না মান্যার বাবার। তাই মাঝ পথেই বন্ধ হয়ে যায় মান্যার পড়োশোনা কিন্তু কোনও কিছুতেই হার মানেননি তিনি
পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার পর কিশোর বয়সেই কাজ শুরু করেন উত্তরপ্রদেশের মেয়ে মান্যা সিং। দিনে বিভিন্ন দোকানে বাসন মাজার কাজ করতেন এবং রাতে কাজ করতেন একটি কল সেন্টারে। এভাবেই বইপত্র কেনা থেকে শরীর চর্চা, নিজের খরচ নিজে চালাতে শুরু করেন বলে জানান মান্যা সিং।
যদিও নিজে রোজগার করলেও শেষরক্ষা হয়নি। ফলে তাঁর মায়ের কাছে যে গয়না ছিল, তা বন্ধক রেখেই মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালানো শুরু করেন রিক্স চালকের স্ত্রী। মেয়ের পড়াশোনা এবং তাঁর জীবনে আশার আলো দেখার জন্য মান্য়ার মা অনেক সহ্য করেছেন বলে জানান মিস ইন্ডিয়া রানার্স আপ
দিন, রাত মিলিয়ে কাজ করার পর মান্যা যখন পড়াশোনার জন্য ফের স্কুলে যাওয়া শুরু করেন, সেই সময় কয়েক মাইল তিনি পায়ে হেঁটে যাতায়াত শুরু করে। রিক্সা ভাড়া যাতে না দিতে হয়, সেই জন্য মাইলের পর মাইল হেঁটে তাঁকে যাতায়াত করে ডিগ্রি জোগাড় করতে হয়। বাবা, মা এবং ভাইয়ের জন্য তিনি এতদূর পৌঁছতে পেরেছেন। ওঁদের জীবনকে যাতে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায়, সেই কারণে তাঁকে অনেক দূর যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মান্যা।
পাশাপাশি মান্যা আরও বলেন, বাবা, মা এবং ভাইয়ের জন্য তিনি যেমন লড়াই করছেন, সেই সময় গোটা পৃথিবীকে তিনি দেখাতে চান, কারও চোখে যদি স্বপ্ন থাকে, তাহলে তা পূরণের জন্য মানুষ অনেক কিছু করতে পারনে। প্রসঙ্গত মিস ইন্ডিয়া রানার্স আপ হওয়ার পর এবার মান্যা এবার ভারতের হয়ে আন্তর্জাতির সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করবেন।