পুষ্টি ও গৃহসজ্জা একসঙ্গে: ঘরেই চাষ করুন রঙিন ক্যাপসিকাম
বেল পেপার বা ক্যাপসিকাম বা সিমলা মির্চা এ দেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মাছ, মাংস, সবজি, স্যালাড--সবকিছুতেই এর ব্যবহার রয়েছে। সবুজ, লাল ও হলুদ রঙ-সহ এখন বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম পাওয়া যায়। দেখতেও সুন্দর, শরীরের পক্ষেও উপকারী।
তবে ক্যাপসিকামের জন্য সব সময়ে বাজারমুখীই বা হবেন কেন? একটু চেষ্টা করলে তো বারান্দা কিংবা ছাদের টবে সহজেই বেল পেপার বা ক্যাপসিকামের চাষ করা যায়। এতে গৃহসজ্জাও হবে।
ক্যাপসিকামের কয়েকটি উন্নত মানের জাত হল-- ক্যালিফোর্নিয়া ওয়ান্ডার, ইয়েলো ওয়ান্ডার। এছাড়া কয়েকটি হাইব্রিডও মেলে। অনুপম ভারত, রতন, মহাভারত প্রভৃতি।
ঝুরঝুরে বেলে বা দো-আঁশ মাটি ক্যাপসিকাম চাষের উপযুক্ত। ভাদ্র ও মাঘ মাসে এর বীজ বপন করলে ভাল। টবের মাটিতে জৈব সার মেশাতে হবে। রোপণের জন্য মোটামুটি একমাস বয়সী চারা উপযুক্ত। ক্যাপসিকাম চাষের জন্য আলো, বাতাস ও নরম রোদ জরুরি। চারা রোপণের কমপক্ষে ২০ দিন পর থেকে একটু একটু করে ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হয়। সঙ্গে নিয়মিত ও পরিমিত জল। দেখতে হবে মাটি যেন শুকিয়ে না যায়। চারা বসানোর প্রায় দু'মাস পর থেকেই ফল দিতে শুরু করে গাছ।
খেয়াল রাখতে হবে, ক্যাপসিকামের পাতায় যেন রোগের উপদ্রব না হয়। সাধারণত, দু'ধরনের রোগ দেখা যায় ক্যাপসিকামে-- পাতা কুঁকড়ে যাওয়া আর পাতায় কালো দাগ হওয়া। এসব থেকে রক্ষা পেতে নিমবীজের দ্রবণ অথবা সাবানজল স্প্রে করা যেতে করা যেতে পারে।
তা হলে যাঁদের বাগান করার শখ আছে, ঘরে বেল পেপারের চাষ করে মিটিয়ে নিন সেই শখ। এতে একই সঙ্গে বাগানের রূপেও পরিবর্তন আসবে আর আপনার প্লেটেও চলে আসবে তাজা ক্যাপসিকাম।