আমপানের মতোই ভয়ঙ্কর হতে পারে `যশ` : মৌসম ভবন, জানুন Latest Updates
১) ২৫ মে সন্ধে থেকেই এর ফলে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অসম ও মেঘালয়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হবে। ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়েই কি আমপানের স্মৃতি উসকে দেবে 'যশ'? জেনে নিন বিশদে।
২) মৌসম ভবনের মতে যশ যে আমপানের মতো আকার নেবে না সেই ধারণা একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছেন না তাঁরা। তবে মন্দের ভালো খবর এই যে সমুদ্রের থেকে স্থলভাগের দিকে বেশ দ্রুত গতিতেই পেরোচ্ছে যশ। যার ফলে সমুদ্রে যত কম সময় থাকবে ততই শক্তি কম হবে ঘূর্ণিঝড়ের, মত হাওয়া অফিসের।
৩) বুধবার রাজ্য় সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ওষুধের পর্যাপ্ত জোগান, পানীয় জল, শুকনো খাবার ও ত্রিপলের ব্যবস্থা রাখার কথা ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বলেছেন তিনি।
৪) ওড়িশা সরকারও ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করেছে। বুধবার রাজ্যের উপকূলবর্তী ১০ জেলার সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে স্থানীয় পুলিস সুপার, দমকল বিভাগের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। ঝড় এলে মানুষকে কোথায় সরানো হবে, ত্রাণশিবির কোথায় খোলা হবে সে সম্পর্কে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৫) উত্তাল তো বটেই, ভয়াবহ রূপ নিতে পারে সমুদ্র। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের ২৪ মে থেকে বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করেছে হাওয়া অফিস।
৬) সাধারণত প্রাক-বর্ষা মরশুমে এপ্রিল ও মে মাস নাগাদ ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হয়। পশ্চিমে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় তকতের প্রভাবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে মুম্বই, গুজরাট উপকূল এলাকা। আর এবার পূর্বে আসছে 'যশ'। যদিও আবহাওয়া দফতর এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু জানায়নি। তবে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।