যেন `আন্দামান` বাঁকুড়ার ১২টি গ্রাম, রাতভর বৃষ্টিতে জলের তলায় ভাদুল সেতু
নিজস্ব প্রতিবেদন: বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ। বৃহস্পতিবার থেকে টানা পাঁচদিন দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী এবং অতিভারী বৃষ্টিপাতে পূর্বাভাষ ছিল আবহাওয়া দফতরের। কিন্তু তার ২৪ ঘন্টা আগেই প্রবল বর্ষনে ভাসল বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদ।
বুধবার রাত থেকেই নিম্নচাপের জেরে বাঁকুড়া জেলাজুড়ে এক নাগাড়ে হয়ে চলেছে বৃষ্টি। একটানা বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়েছে বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদে। আর জলস্তর বাড়তেই জলের তলায় চলে গিয়েছে বাঁকুড়া শহর লাগোয়া দারকেশ্বর নদের উপর অবস্থিত ভাদুল সেতু। এর ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল দ্বারকেশ্বর নদের অপর পারে থাকা সোনাতপল, বালিয়াড়া সহ দশ বারোটি গ্রাম।
নদীর ওপারের ১০-১২টি গ্রামের মানুষের বাঁকুড়া সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ছিল এই ভাদুল সেতু। অতি বৃষ্টিতে সেই সেতু জলের তলায় চলে যাওয়াতে কয়েকশো মানুষের সদরে সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এই সেতুটি বেশ নিচু। বৃষ্টি হলেই ভাদুল সেতু জলের তলায় চলে যায়। সমস্যায় পড়তে হয় একাধিক গ্রামবাসীদের। তাই সদরে যাতায়াতের জন্য ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের বারো কিলোমিটার ঘুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাঁকুড়া শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
ভাদুল সেতু ডুবে যাওয়াতে সমস্যায় পড়েছে দ্বারেকশ্বর নদের দুপারে মানুষ। কারণ নদের ওপারটি হল সবজি গ্রাম। ওই গ্রামগুলো থেকে প্রতিদিন ভ্যানে করে কাঁচা আনাজ বাঁকুড়া সদরে আসে বিক্রির জন্য। সেই সদর থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সবজি কিনে নিয়ে যায়। ভাদুল সেতু ডুবে যাওয়াতে সবজি নিয়ে যেতে পারছে না চাষিরা । ফলে সবজি আকাল দেখা দিয়েছে বাঁকুড়া সদর জুড়ে।