কবে ভাইফোঁটা? সমস্ত সংশয় নিরসন করে জেনে নিন ঠিক তারিখ ও শুভ মুহূর্ত...
বিশ্বকর্মা পুজো দিয়ে উৎসবের মরশুম শুরু বাঙালির। এর পরে গণেশপুজো। এর পরেই আসে সবচেয়ে বড় উৎসব, দুর্গাপুজো। এই যে উৎসবের লম্বা মরশুম, তা শেষ হয় জগদ্ধাত্রী পুজো দিয়ে। তবে তার আগে, কালীপুজোর পরেই আসে ভাইফোঁটা।
সারা ভারতেই ভাইফোঁটা পালিত হয়। অ-বাঙালি অধ্যুষিত অবশিষ্ট ভারতে এই অনুষ্ঠান ভাই দুজ।
বাঙালি ভাইবোনেদের কাছে ভাইফোঁটার গুরুত্ব অন্যরকম। এটা তাদের কাছে নিছক একটা আচার নয়, একটা উৎসব। ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘজীবন কামনা করে বোনেরা এদিন ভাইদের কপালে ফোঁটা দেন।
এই উৎসবের সঙ্গে যোগ রয়েছে পুরাণের। এদিন বোন যমুনার বাড়িতে ফোঁটা নিতে এসেছিলেন যমরাজ।
প্রতি বছর বোনেরা ভাইদের মঙ্গলকামনায় ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেন, যমের দুয়ারে দেন কাঁটা। কাঁটা-র অর্থ, ভাই যেন দীর্ঘজীবী হয়, যমরাজ যেন ভাইয়ের প্রাণ কাড়তে না পারেন।
মোটামুটি কালীপুজোর দু’দিন পরেই পালিত হয় ভাইফোঁটা। তিথি হিসেবে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে ভাইফোঁটা পালিত হয়। সেই হিসেবে এবছর ভাইফোঁটা হওয়া উচিত মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর। এবছর অবশ্য ১৪ ও ১৫ নভেম্বর দুদিনই ভাইফোঁটা পালন করা যাবে। কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথি শুরু হচ্ছে ১৪ নভেম্বর দুপুর ২টো ৩৬ মিনিট থেকে। তার মানে, মঙ্গলবার মোটামুটি পৌনে তিনটের পর থেকে বোনেরা ভাইফোঁটা পালন করতে পারবেন।
তবে, এ ভাবে না-মেনে অনেকেই এ বছর ভাইফোঁটা মানছে তার পরদিনে, মানে বুধবারে ১৫ নভেম্বরে। ১৫ নভেম্বর, ২৮ কার্তিক দুপুর ১টা ৪৭ মিনিট
(মতান্তরে, ১টা ৫৬ মিনিট) পর্যন্ত থাকবে ভাইফোঁটা দেওয়ার সময়। এর মধ্যে যে কোনও সময়ে ফোঁটা দেওয়া যাবে ভাইকে। তবে ফোঁটা দেওয়ার শুভক্ষণ সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ০৫ মিনিট।