Bhangarh Fort: রাতে ভেসে আসে নূপুরের শব্দ! এই দুর্গ ভারতের সবথেকে ভূতুড়ে জায়গা
ভূ-ভারতে এমন জায়গা দেখা যায় না। বিশ্বের নিরিখেও তাই। এই দুর্গের ইতিহাস যতটা ঐতিহ্যের, গৌরবের ততটাই ভৌতিক ও শিহরণের। যা শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়। ভারতের রাজস্থানের এই দুর্গের কাহিনীতে কিন্তু সরকারি স্বীকৃতিও রয়েছে। কেবল লোককাহিনী নয়। পর্যটকেরা বলেন এই অঞ্চলে রয়েছে কিছু ইতিহাস। যা শিউরে ওঠা।
ভানগড়ের সীমানায় একটি বোর্ডও রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের পরে শহরের থাকা কঠোরভাবে বারণ। কিন্তু এই নিষিদ্ধতার কারণ কি?
ভারতের স্থাপত্যের একটি নিদর্শনটি তৈরি করেছিল ভগবন্ত দাসের ছোট ছেলে মাধো সিং। সপ্তদশ দশকে এই দুর্গ তৈরি হয়েছিল। দুর্গের প্রতিটি ইটে রয়েছে মোগল সাম্রাজ্যের আভিজাত্যর চিহ্ন। যদিও এই কেল্লার চারিপাশে নেই কোনও জনবসতি।
বিশ্বের সেরা দশটি ভুতুড়ে স্থানের একটি হিসেবে ধরা হয় ভানগড় কেল্লাকে। এই কেল্লাকে কেন ভূতুড়ে হিসেবে ধরা হয় তার নির্দিষ্ট কিছু ইতিহাসও রয়েছে। যেমন কথিত আছে এক সাধুর অভিশাপে ভস্ম হয়েছিল এই দুর্গ। সেই শাপ আজও গ্রাস করে রয়েছে ভানগড় দুর্গকে।
এই দুর্গের আরেকটি গল্প ঘিরে রয়েছে এক সুন্দরী রাজকুমারীর কাহিনী। সেই রাজকুমারীকে পছন্দ হয়েছিল এক তান্ত্রিকের। জাদু ছড়িয়ে বশ করার চেষ্টা করেছিলেন ওই সম্রাজ্ঞীকে। যদিও রাজকুমারী তা বুঝে ফেলে মেরে ফেলেছিলেন তান্ত্রিককে। যদিও মৃত্যুকালে যে শাপ দিয়ে গিয়েছিলেন ওই তান্ত্রিক, সেই অভিশাপ আজও ভৌতিক নগরীর তকমা দিয়েছে ভানগড়কে।
স্থানীয় এলাকাবাসী থেকে পর্যটকদের অনেকেই এক ছমছমে অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করেছেন। দুর্গের মধ্যে কেউ পিছু পিছু হাঁটে, কেউ পেয়েছেন নি:শ্বাসের তাপ। তবে এই দুর্গে পরবর্তীতে বেশ কিছু মৃত্যুও ঘটেছে৷ সাহসের বশে যাওয়া কয়েকজন যুবকের একজনের প্রাণহানি হয়েছে এই দুর্গে। সে দেহ পাওয়া যায়নি পরেও৷
রাতের নিশুতি আধারে নূপুরের শব্দ শুনেছে একাধিকজন। যদিও আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া রাতের ভানগড় দুর্গকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, তবু সাহসের বরাভয়ে সে এলাকায় ভূতের দেখা পেতে ওৎ পাতে অনেকে। বিদেশিরাও আসেন সেই গা ছমছমে মুহুর্ত উপভোগে।