বাংলার ঘরের বউ-ই আজ পড়শি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী, অবসর পেলেই আসেন শ্বশুরবাড়িতে

Mon, 16 Nov 2020-8:23 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন : যুগ্মভাবে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক রেনু দেবী। আর তাতেই খুশিতে গর্ববোধ করছে হাওড়ার ববন প্রসাদ সিংয়ের পরিবার। কারণ, একসময় হাওড়ার জগাছায় থাকতেন রেনু দেবী। এখানেই ছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ি। 

 

বিহারের বেতিয়ার বাসিন্দা রেনু দেবীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জগাছার বাসিন্দা দুর্গা প্রসাদের। তিনি পিয়ারলেসের ফিল্ড অফিসার ছিলেন। জগাছার বাড়িতে রেনু দেবীর সন্তানও হয়। ১৯৭৯ সালে দুর্গা প্রসাদ বাবুর মৃত্যুর পর পিয়ারলেসের ফিল্ড অফিরারের লাইসেন্স ট্রান্সফার হয় রেনু দেবীর নামে। জোরকদমে কাজ শুরু করেন তিনি। দীর্ঘদিন কাজও করেন। কিন্তু তারপর পিয়ারলেস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ে যান।

এরপরই ১৯৮৯ সাল নাগাদ তিনি বিহারে বাপের বাড়িতে চলে যান। সেখানে গিয়ে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ধীরে ধীরে বিজেপির সক্রিয় কর্মী হয়ে ওঠেন। আর এদিকে শ্বশুরবাড়ি দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে যান পিয়ারলেসেরই আরেক এজেন্ট ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ববন প্রসাদ সিংকে। ববন প্রসাদ সিং জানালেন, এখনও এই বাড়ি রেনু দেবীর নামেই রয়েছে। মাঝেমধ্যে সপরিবারে হাওড়ার বাড়িতে আসেন রেনু দেবী। লকডাউনের ঠিক আগেই এসেছিলেন এখানে। নিজে ভালো রান্না করেন। 

 

ববন প্রসাদ সিং জানান, তাঁদের দুই পরিবারের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আসা যাওয়া, কথাবার্তা প্রায়ই হয়। রেনু দেবীর এই সাফল্যে তাঁরা খুবই খুশি। ববন প্রসাদ সিংয়ের ছেলে মণীশ কুমার সিং জানান, রেনু দেবীকে তিনি আন্টি বলে ডাকেন। খুব ভালো মানের মানুষ। দুই পরিবার একসঙ্গে বেড়াতেও গিয়েছেন। আজ খুশির খবর পেয়ে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফোন করেছিলেন। যদিও ব্যস্ততার মধ্যে ফোনে পাওয়া যায়নি তাঁকে। তবে খুব শিগগিরই তাঁদের দেখা হবে বলে আশাবাদী সিং পরিবার। (ছবিতে ববন সিং, মণীশ কুমার সিং ও রিনা সিং)

পাশাপাশি ববন সিংয়ের পুত্রবধূ রিনা সিং বলেন, একজন মহিলা হিসেবে তিনি চান বিহারের মহিলাদের জন্য ভালো কিছু করুক রেনু দেবী। কারণ বিহারে পিছিয়ে পড়া মহিলার সংখ্যা অনেক। তাঁদের জন্য, বিহারের আরও উন্নতির জন্য রেনু দেবী অনেক কাজ করবেন বলে আশাবাদী তিনি।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link