বিহারে এ যাত্রায় নীতীশের বৈতরণী পার করালেন নরেন্দ্র মোদী!
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারে কোনওক্রমে সরকার বাঁচিয়ে ফেলছেন নীতীশ কুমার। এখনও পর্যন্ত ভোট প্রবণতায় অন্তত তেমনই ফলের ইঙ্গিত মিলছে। তবে এ যাত্রায় 'বড় দাদা'র তকমা হারাচ্ছে জেডিইউ। নীতীশের দলের থেকে বেশি আসন পেতে চলেছে বিজেপি। যদিও তারা লড়েছে কম আসনে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, নরেন্দ্র মোদীর ম্যাজিকেই আরও একবার কুর্সিতে বসতে চলেছেন। যদিও বিজেপির একাংশ ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করে দিয়েছে, বড় শরিক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ তাদের প্রাপ্য। জেডিইউ আবার নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ফল যাই হোক, এনডিএ ক্ষমতায় আসলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতীশ কুমারই।
১৫ বছর শাসন করছেন নীতীশ কুমার। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার জোরালো হাওয়া। অথচ তাও লড়াই দিয়ে চলেছে এনডিএ। ভোট প্রবণতা বলছে, আরও একবার পটনার মসনদে নীতীশের বসা পাকা। আর নীতীশকে টানলেন নরেন্দ্র মোদী। বিহারে ডজনখানেক সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন,'মুঝে সিএম নীতীশ চাহিয়ে'। নরেন্দ্র মোদীর ম্যাজিক যে এখনও অটুট তার প্রমাণ, প্রধানমন্ত্রী যেখানে যেখানে সভা করেছেন, তার সিংহভাগ কেন্দ্রেই এনডিএ-র জয়জয়কার।
২০১৫ সালে বিজেপি ১৫৭ আসনে লড়াই করে পেয়েছিল ৫৩টি। এবার সমঝোতায় ১২১টি আসন পেয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই ৪৮টি আসন জিতেছে তারা। আরও ২৫টি আসনে এগিয়ে। সেখানে জেডিইউ ২৯টি আসন জিতেছে। এগিয়ে ১৩টি আসনে। নিশ্চিতভাবে এই ফলের পর বিহারে বড় দাদার ভূমিকা পালন করবে বিজেপি। মহারাষ্ট্রেও একইভাবে এককালে শিবসেনার শরিক ছিল তারা। এখন সে রাজ্যে বড় শরিক বিজেপিই।
কেন মোদীর ভূমিকা বড় করে দেখা হচ্ছে? রাজনৈতিক মহল বলছে, বিহারে দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকায় নীতীশের উপরে আঁচ পড়েছে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার। বিজেপির উপরে তার প্রভাব পড়েনি। নির্বাচনী ফলাফলেই তা স্পষ্ট। কোভিড পরিস্থিতি, পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা, এনআরসি-র মতো বিষয়গুলি থাকা সত্ত্বেও কোনও প্রভাবই পড়েনি বিজেপির ভোটে।