কাঁচের ট্রেনে সিমলার প্রকৃতি দর্শন, ১৫ ডিসেম্বর যাত্রার সূচনা

Wed, 05 Dec 2018-10:53 pm,

পাহাড়ের কোল বেয়ে চলেছে ট্রেন। অথচ দরজার পাশে বসা ছাড়া মনোরম প্রকৃতি অনুভব করার সুযোগ নেই। কালকা থেকে সিমলা পর্যন্ত ট্রেয় ট্রেনে চড়ে নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করেন পর্যটকরা। 

কিন্তু এবার নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ হতে চলেছে আরও মনোরম। এবার গোটা ট্রেনই হবে কাঁচের। অর্থাত্ ট্রেনের কামরা সিংহভাগই থাকবে কাঁচের। 

বিস্টাডোম বা গ্লাস টপ কোচে আশাপাশেরই নয়, উপরের গাছগাছালিও দেখতে পাবেন পর্যটকরা। ১৫ ডিসেম্বর থেকে বিস্তাডোম কোচে সফর করতে পারবেন পর্যটকরা। 

রেলওয়ের দাবি, বিস্তাডোম কোচ আসার পর পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। প্রতিবছর ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাঁচের কোচে চড়তে পারবেন যাত্রীরা। 

বলে রাখি, ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ       কালকা-সিমলা ট্রেন রুট ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেড সাইটের অন্যতম।   

বিস্টাডোম কোচের সঙ্গে হফ অন-অফের সুবিধাও চালু করতে চলেছে রেল। এর ফলে কালকা ও সিমলার মাঝে যে কোনও স্টেশনে নেমে আবার ট্রেনে উঠতে পারবেন পর্যটকরা। 

বিস্টাডোম কোচে শুধু বাইরেই নয়, ট্রেনের ভিতরেও আরামের সমস্ত ব্যবস্থা থাকছে। আরামপ্রদ বসার জায়গা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ- সবমিলিয়ে পর্যটকদের জন্যে অপেক্ষা করছে নতুন অভিজ্ঞতা  বৃষ্টি ও বরফপাত হলে পর্যটকদের পোয়াবারো বলে মনে করছে রেল। 

দেশের যেকোনও প্রান্ত থেকে টিকিট বুক করা যাবে। তবে টিকিটের দাম খোলসা করেনি রেল। 

কালকা থেকে সিমলা সফরে ১৬২টি সুড়ঙ্গ ও ৮৮৯টি সেতু রয়েছে। কয়েকটি সুড়ঙ্গ তো আবার হেরিটেজ আখ্যাও পেয়েছে।

টয় ট্রেনের গতিও বাড়ানো হচ্ছে। গতি ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ভবিষ্যতে তা ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার করা হতে পারে। 

কালকা-সিমলার পর আরও কয়েকটি রুটে চালানো হবে বিস্টাডোম কোচ। এতে রেলের বার্ষিক ৩৫০ কোটি আয় হতে পারে বলে খবর। 

উল্লেখ্য, ১৯০৩ সালে কালকা থেকে সিমলা রেলপথের সূচনা হয়েছিল। ১১৫ বছর হয়ে গিয়েছে।        

 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link