রামনবমীতে ইসলামপুরকে ফের `ঈশ্বরপুর` করার দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপির উদ্যোগে রামনবমী উপলক্ষে বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে ইসলামপুরে।
রামের পুজোর সঙ্গে 'গোমাতা'র পুজোরও আয়োজন করে ভিএইচপি। গরুর উপকারিতা লিখে বর্ণনা করা হয়। ভিএইচপি-র তরফে রামনবমী উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনও করা হয়।
এর পাশাপাশি রামনবমীতে ইসলামপুরের নাম বদলে ফের 'ঈশ্বরপুর' করার দাবি তুলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই মর্মে চাঁদা সংগ্রহ করতেও দেখা যায়।
শুধু তাই নয়, রামনবমী উপলক্ষে পুলওয়ামায় শহিদদেরও শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে। সেখানেও দেখা যায় লেখা রয়েছে 'ঈশ্বরপুর'।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পরিচালিত একটি স্কুলের বোর্ডে ইসলামপুরকে 'ঈশ্বরপুর' বলে উল্লেখ করায় বিতর্ক ছড়িয়েছিল।
পাশাপাশি, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ইসলামপুরে এবার নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু দাঁড়িভিট কাণ্ড। গুলিতে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এবার নির্বাচনেও সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। রামনবমীতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে দাঁড়িভিট হাইস্কুলে সংঘর্ষে মৃত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণকেও।
এদিন রামনবমীর মিছিলে অংশগ্রহণ করেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। রামনবমী পালন নিয়ে হাজারো বিতর্কের মাঝে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য," আমরা হিন্দু রামনবমী মানাব তো। আমরা তো ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি। উনি অধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন।"
শুধু তাই নয়, মানুষ চাইলে অস্ত্র নিয়েই মিছিল করার কথা জানান বিজেপি প্রার্থী। তাঁর যুক্তি, "আমাদের ঠাকুরের হাতে ত্রিশূল থাকে। তাহলে ভক্তরা কেন নেবে না? মানুষ চাইলে কেন হবে না?" প্রসঙ্গত, কোথাও কোনও অস্ত্র মিছিলের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। একইসঙ্গে ইসলামপুরের নাম বদলে 'ঈশ্বরপুর' করাও এলাকাবাসীর দাবি বলে জানিয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী।
তবে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাড়ম্বরে রাম নবমী উদযাপনকে আমল দেননি ইসলামপুরের ডাকসাইটে বিধায়ক তথা রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়া লাল আগরওয়াল। তিনি দাবি করেন, প্রতি বছরই মিছিল হয়। তাঁরাই সবসময় থাকেন। এবার দেবশ্রী চৌধুরী নতুন এসেছেন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন।