জয়েন্টে বাংলার জন্য আবেদনই করেনি পশ্চিমবঙ্গ, NTA-র বিবৃতি ফাঁস করে দাবি বিজেপির
অঞ্জন রায়: জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষায় 'বাংলা ভাষায় প্রশ্নপত্র নিয়ে জমে উঠেছে রাজনৈতিক লড়াই। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বাংলা ভাষাকে ব্রাত্য করার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী ভাষা আবেগ উস্কে দিতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপি।
ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সির বিবৃতিও টুইট করে রাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় লিখেছেন,''ভাষার নামে মানুষের মধ্যে বিভাজন করে ভোট পাবেন না বিভাজক দিদি। বাংলায় পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আপনি কখনও অনুরোধ করেননি।''
কী বলছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির বিবৃতি? গত ৭ নভেম্বর তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ২০১৩ সালে জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষায় সম্মত হয়েছিল সবকটি রাজ্য। ওই বছরেই সব রাজ্যগুলিকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল। শুধুমাত্র গুজরাট তাদের রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য গুজরাটিতে প্রশ্নপত্র করার আবেদন করে। ২০১৪ সালে মরাঠি ও উর্দুতে প্রশ্নপত্র করার আর্জি করে মহারাষ্ট্র। ২০১৬ সালে আবেদন প্রত্যাহার করে মহারাষ্ট্র। তবে গুজরাটি ভাষা চালু থাকে। আর কোনও রাজ্য ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কাছে আবেদন পাঠায়নি।
রাজ্য সরকার আবার একটি চিঠি প্রকাশ করেছে। ওই চিঠিতে বাংলায় জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু, সেটি ৭ নভেম্বরের। চিঠিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ পড়ুয়াই দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়াশুনো করে। কিন্তু ২০২০ সালে জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষা হতে চলেছে ইংরেজি, হিন্দি ও গুজরাটিতে। এর ফলে সমস্যায় পড়বেন বাংলার সম্ভাবনাময় ছাত্রছাত্রীরা। কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় সকলের সমান সুযোগ পাওয়া উচিত। ভারতীয় সংবিধানের ৮ নম্বর তপশিলীতে রয়েছে ২২টি অফিসিয়াল। তার মধ্যে বাংলাও আছে বলে মনে করিয়ে দিয়েছে রাজ্য।
কিন্তু আগে কি আবেদন করেছিল রাজ্য? মমতার ব্যাখ্যা,''বাংলা ভাষা রাখার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওরা বলেছিল, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট চিঠি পাঠিয়েছিল। তাহলে মরাঠি কেন হল না? চিঠি আগেই পাঠানো হয়েছিল। বলতে হয় বলে দিল। শিক্ষানীতি থেকে অনেক কিছুই পরিবর্তন করা হচ্ছে।''
মমতা প্রশ্ন তোলেন, জয়েন্ট এন্ট্রাসে হিন্দি ও ইংরেজি ছিল। গুজরাটিকে ঢোকানো হয়েছে। আমার গুজরাটি নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সব ভাষা ঢোকানো হবে না কেন?
সংসদেও এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরব হতে চলেছে। তার আগে ১১ নভেম্বর ব্লকস্তরে সভা করে প্রতিবাদ জানাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।