অর্জুনকে টেনে কতটা লাভ বিজেপির? ২০১৪ সালে ভাটপাড়ার ফল দিচ্ছে অশনি সংকেত
বুধবারই মিলেছিল আভাস। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে বিজেপিতে যোগদান করলেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। মুখে বললেন, দেশহিত ছেড়ে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সে কারণেই দল ছেড়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছে, দলের টিকিট না পেয়েই বিজেপির শরণে গিয়েছেন অর্জুন সিং। ভাটপাড়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ অর্জুন সিংকে বারাকপুরে প্রার্থী করা হতে পারে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। কিন্তু প্রার্থী হলে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন অর্জুন সিং?
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪-র লোকসভা ভোটে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভাটপাড়াতেই দলকে লিড দিতে পারেননি অর্জুন সিং। ৩৭.৪৯ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী।
বারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত অন্য ছটি বিধানসভা কেন্দ্রে অবশ্য যথেষ্ট বড় ব্যবধানেই জেতে তৃণমূল। বারাকপুরে ৩৬.৯১ শতাংশ, নোয়াপাড়ায় ৪০. ১০ শতাংশ, জগদ্দলে ৪৩.৪৬ শতাংশ, নৈহাটিতে ৫০.৪৬ শতাংশ, বীজপুরে ৭০.৬১ শতাংশ এবং আমডাঙায় ৪৪.৪১ শতাংশ ভোট পায় তৃণমূল। ফলে, দীনেশ ত্রিবেদীর জিততে অসুবিধা হয়নি।
২০১৬-র বিধানসভা ভোটে অবশ্য বারাকপুর লোকসভা আসনের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই বড় ব্যবধানে জেতে তৃণমূল। আমডাঙায় ৫০.৪৭ শতাংশ, বীজপুরে ৬২.৩২ শতাংশ, নৈহাটিতে ৫১.৪৫ শতাংশ, ভাটপাড়ায় ৫৫.৬০ শতাংশ, জগদ্দলে ৪৭.১০ শতাংশ, নোয়াপাড়ায় ৪২.১৯ শতাংশ এবং বারাকপুরে ৪১ শতাংশ ভোট পায় তৃণমূল।
গত বিশ বছরে প্রভাব-প্রতিপত্তি যথেষ্টই বেড়েছে অর্জুন সিংয়ের। কিন্তু তাঁর যা বাড়বাড়ন্ত, তার সবটাই তৃণমূলের ছাতার তলায়। ফলে দলবদলে অর্জুনের ম্যাজিক কতটা থাকে, সেটাই দেখার।