ছবি: খোল, করতাল ও খঞ্জনি নিয়ে হরিনাম কৈলাস-মুকুল-অরবিন্দের

Wed, 25 Sep 2019-8:00 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজনীতির রুক্ষ ময়দান ছেড়ে কীর্তন। বুধবার মহাজতি সদনে বাউল-কীর্তন শিল্পীদের অনুষ্ঠানে নেচে-গেয়ে ও বাজিয়ে মাতালেন বিজেপি নেতারা। 

 

রাজ্যের লোকসংস্কৃতির শিল্পীদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের প্রচারে তাঁদের কাজে লাগাতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল। খোল-খঞ্জনি বিতরণ করেছিলেন বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল। শাসক দলের থেকে লোকশিল্পীদের নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা শুরু করে দিল বিজেপি। 

এদিন বাউল-কীর্তন শিল্পীদের সভার মূল উদ্যোক্তা মুকুল রায় বলেন,''বাউল-কীর্তন কিচ্ছু করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরাই দায়িত্ব দিলাম। ওনাদের সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানাব।''   

এদিন রীতিমতো ভজন গাইতে শুরু করেন রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁকে খোল-খঞ্জনিতে সঙ্গত দেন অরবিন্দ মেনন ও মুকুল রায়। 

শুধু গাওয়াই নয়, খোল বাজাতে বাজাতে গানও গেয়েছেন কৈলাস। মধ্যপ্রদেশে একাধিক জলসায় দেখা গিয়েছে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। 

বাংলার নগর সংকীর্তনের ইতিহাস অনেক পুরনো। বস্তুত গেরুয়া শিবিরের রাম নবমীর অস্ত্র মিছিলে বিরোধিতায় অনেকেই বাংলার কীর্তন সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করেছিলেন।

কীর্তনশিল্পীদের সভায় রাজনীতি ছেড়ে নেতাদের খোল-করতাল বাজাতে দেখা গেলেও, তা আদতে নয়। অনেকেই মনে করছেন, এটা আসলে বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে আরও বেশি করে বিজেপিকে মেশানোর কৌশল। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link