তৃণমূলের `রাস্তা রোকো`র মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে পাল্টা চাপ বিজেপির
অঞ্জন রায়: কলকাতায় যুব মোর্চার সভার আগে রাজ্যের শাসক দলের উপরে চাপ বাড়াল বঙ্গ বিজেপির। অসমের নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় শনিবার রাজ্যজুড়ে রাস্তা রোকে কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপির অভিযোগ, অমিতের সভায় ভিড় আটকাতে পরিকল্পিতভাবে এই ঘোষণা করেছে শাসক দল। এহেন পরিস্থিতিতে দুপক্ষ মুখোমুখি হলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের।
চিঠি লিখে এই আশঙ্কার কথাই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
মুখ্যসচিবকে বিজেপি নেতৃত্ব চিঠিতে লিখেছে, হঠাত্ই আগামিকাল রাস্তা রোকো কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অমিত শাহের বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে শাসক দল। রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির লক্ষ্যেই এমনটা করা হয়েছে।
বিজেপি আরও বলেছে, পুলিস বা শাসক দল বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ভয়ঙ্কর হিংসা ও অশান্তির ঘটনা ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে দায়ী থাকবে রাজ্য প্রশাসন ও শাসক দল। বাংলার গণতন্ত্রের ঐতিহ্য বজায় রাখতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করার অনুরোধ করছি।
রাজনাথ সিংকে চিঠিতে বিজেপির আবেদন, বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার যাতে ব্যবস্থা নেয়, তার নির্দেশ দিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
১১ অগস্ট কলকাতায় বিজেপির যুব মোর্চার সভায় বক্তব্য রাখবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সভা থাকবেন যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী পুনম মহাজন। এছাড়া মুরলিধর রাও, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতো সর্বভারতীয় নেতারাও থাকবেন। ইতিমধ্যেই সভা ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি একপ্রস্ত বিতণ্ডা হয়েছে।
অমিতের সভার দিনই রাস্তা রোকো কর্মসূচির ডাক দিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
এদিকে, সভাস্থল জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের পোস্টার-ব্যানারে ছড়াছড়ি। এই নিয়ে শুরু হয়ে গেছে দু-দলের তরজা। বিজেপির তরফে অভিযোগ, এসবই তৃণমূলের চক্রান্ত।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু অবশ্য জানিয়েছেন, অমিত শাহের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে পোস্টার না খোলার জন্য। তাই একটা পোস্টারও খোলা হবে না।