নদী বাঁচিয়ে সবুজ নোবেল জিতলেন বসনিয়ার Maida Bilal
বসনিয়ার Kruscica River-য়ে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করেন বছর চল্লিশের মাইদা বিলাল। প্রকৃতি বিনষ্ট হবে এই দাবি তুলে নদীরক্ষায় ব্রতী হন তিনি। গ্রামের নারীদের একটি দল নিয়ে টানা ৫০০ দিন ধরে ওই প্রকল্পের বিরোধিতা করেন মাইদা। এ জন্য তাঁকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। তবু দমে যাননি।
ক্রুসিকা নদীর উপর জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য আনা ভারী যন্ত্রপাতি নদীটির কাঠের সেতু দিয়ে পার করানো হচ্ছিল। তখনই বাধা দেন মাইদা ও তাঁর দলবল। সময়টা ২০১৭ সালের গ্রীষ্ম। তাঁদের যুক্তি ছিল, এ প্রকল্পটি হলে এই নদীর পরিবেশ-প্রকৃতি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।
মাইদা দাবি করেন, তাঁদের আন্দোলন থামাতে পুলিস আক্রমণ চালিয়েছে। শান্তিশৃঙ্খলা নষ্টের অভিযোগ তুলে জোর করে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁরা লড়াই ছাড়েননি। মাইদা আরও বলেন-- নদীরক্ষায় আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি চাকরি ও বন্ধু খুইয়েছেন। তাঁর মেয়ে স্কুলে নিপীড়নের শিকার হয়।
অবশেষে মাইদার কাছে হেরে যায় সরকার। ওই প্রকল্পের অনুমোদন বাতিল করতে বাধ্য হয় তারা। সেতুটির নামকরণও হয় তাঁর নামে। ২০১৮ সালে তাঁর ওই লড়াই জেতা। এর পর থেকেই বলকান দেশে পরিচিত মুখ মাইদা।
সম্প্রতি তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ইউরোপীয় অঞ্চলের সম্মানজনক Goldman Environmental Prize জিতেছেন মাইদা। ‘Green Nobel’ হিসেবে পরিচিত এ পুরস্কার প্রতি বছর বিশ্বের ছ'টি মহাদেশের ছ'জন একেবারে তৃণমূল স্তরের পরিবেশকর্মীকে দেওয়া হয়। ভার্চুয়াল ওই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সবুজ নোবেল বিজয়ীদের এই গ্রহকে রক্ষার লড়াইয়ে সামিল সৈন্য হিসেবে সম্মান জানানো হয়।
মাইদা বলেছিলেন, 'আমরা ৫০৩ দিন ধরে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নদীটিকে রক্ষা করেছি। প্রয়োজন হলে আরও ৫ হাজার ৩০০ দিন একে রক্ষা করে যাব।'