শুভেন্দুর উত্থান, কাউন্সিলর থেকে তৃণমূলের `অপরিহার্য` নেতা

Fri, 27 Nov 2020-7:02 pm,

মানভঞ্জনের চেষ্টা তো কম হয়নি, কিন্তু শেষরক্ষা হবে কি? মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কালীঘাটে নিজের বাড়িতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৈঠকে থাকছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সীর মতো দলের শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীরা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আজ অর্থাৎ শুক্রবারই দফতর বণ্টন করে দেওয়া হবে। আসুন একনজরে দেখা নেওয়া যাক, শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক জীবনের ইতিবৃত্ত।

জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে কাঁথির অধিকারী পরিবার। জেলার রাজনীতিতেও এই পরিবারের দাপট কম নয়। দলের দীর্ঘদিনের সাংসদ শিশির অধিকারী। বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি শুভেন্দুর। ১৯৯৫ সালে প্রথমবার ভোটে দাঁড়ান তিনি। ভোটে জিতে কাউন্সিলর হন কাঁথি পুরসভার। কাউন্সিলর ছিলেন টানা ১৫ বছর।

 

তখনও রাজ্যে ক্ষমতায় বামেরা। ২০০৬ সালে বিধানসভা ভোটে কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও সাফল্য অধরা থাকেনি অধিকারীর বাড়ির ছেলেটার।

 

বাংলার রাজনীতিতে ২০০৭ সালের গুরুত্ব অপরিসীম। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে কার্যত তৃণমূলের মুখ হয়ে ওঠেন শুভেন্দু। তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা নজর কাড়েন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর দলনেত্রীর আস্থা অর্জন করতে আর খুব বেশি সময় লাগেনি তাঁর।

 

সালটা ২০০৯।  এবার লোকসভা ভোট, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তৎকালীন দাপুটে সিপিএম নেতা লক্ষণ শেঠকে হারিয়ে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দেন শিশির-পুত্র। 

আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর যতদিন দিন গিয়েছে, তৃণমূলের সংগঠনের শুভেন্দু অধিকারী দাপটও বেড়েছে ততই। এরমাঝে ২০০৮ সালে আবার পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পান শুভেন্দু।

২০১৪ সালে ফের তমলুক কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন শুভেন্দু। কিন্তু ততদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন, মেয়াদ শেষের আগেই ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে তাঁকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকের সাংসদ থেকে হয়ে যান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। প্রথমবারের বিধায়ককে পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব দেন মমতা। 

এবার  কি তাহলে তৃণমূলের সঙ্গে 'মধুচন্দ্রিমা' শেষ হল শুভেন্দু অধিকারীর? একের এক সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মন্ত্রিত্বও ছেড়ে দিলেন শুক্রবার। তবে খাতায়-কলমে এখনও নন্দীগ্রামের বিধায়ক তিনি। তাঁর রাজনৈতিক জীবন কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে নজর সকলের।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link