জেটলির বাজেট ঘিরে প্রত্যাশার ৭ কাহন
জিএসটি চালু ও নোটবন্দির মতো সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার পর এবার বাজেট পেশ করতে চলেছে এনডিএ সরকার। ফলে এবার বাজেট সরকারে সামনে একটি বড়সড় চ্যালেঞ্জ। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেট পেশ করা হবে। কিন্তু দেশের শিল্প মহল থেকে সাধারণ মানুষ কী আশা করেন অর্থমন্ত্রীর কাছে। রইল তারই এক ঝলক।
শিল্পক্ষেত্রে করের হার ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করা। করছাড়ের পরিমাণ বাড়ানোর আশা করছেন শিল্পপতিরা। ব্যক্তিগত আয়ের ক্ষেত্রে আরও করছাড়ের আশা করছেন সাধারণ মানুষ।
কৃষি: কৃষিক্ষেত্রে সরকার বিনিয়োগ বাড়াবে এমনটাই আশা করছে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষি বিমা, সেচ পরিকাঠামো উন্নতিতে সরকার আরও বিনিয়োগ করবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। তবে সারে ভর্তুকি কম করা হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিকাঠামো: রাস্তা তৈরিতে অন্তত ১০-১৫ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ানো হবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। বরাদ্দ বাড়ানো হবে ভারতমালা প্রকল্পে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে দেশের পশ্চিমাঞ্চলকে নতুন সড়কপথে জুড়ে দেওয়া হবে পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে। রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে।
তথ্য প্রযুক্তি: ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে ইনসেন্টিভ আরও বাড়ানো হবে, এমনটাই আশা। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমকে আরও উৎসাহ দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেবে সরকার। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ফোনের ট্যারিফ প্ল্যান আরও বাস্তবসম্মত করার ক্ষেত্রে সরকার উদ্দেগ নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। জিএসটির হার কমানো হবে। এমনটাই আশা করছে টেলিকম সেক্টর।
অটো: দূষণ সৃষ্টিকারী কমার্শিয়াল ভেহিকেলস বাতিল করার আইন আইন আনা হোক। এমনটাই চাইছে কোনও কোনও মহল। বৈদ্যুতিক যানের ক্ষেত্রে জিএসটি আরও কম করার দাবি উঠছে। মনে করা হচ্ছে আসন্ন বাজেটে এনিয়ে কোনও ঘোষণা হতে পারে।
রিয়েল এস্টেট: সব রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে সিঙ্গল উইন্ডো ক্লিয়ারেন্সের দাবি উঠছে। বিশেষ করে হাউজিং ক্ষেত্রে। হোম লোন নেওয়ার শর্ত আরও সহজ করার দাবি উঠছে। বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে জিএসটির হার কামানোর দাবি উঠছে।
তেল ও গ্যাস: তেল ও গ্যাস উত্তেলোনের ক্ষেত্রে সেস কম করার দাবি উঠেছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রে জিএসটির হার আরও সুবিধাজনক করার দাবি তোলা হচ্ছে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে কর মুকুব হোক। এমনটাই চাইছে কোনও কোনও মহল।