গরিবদের অ্যাকাউন্টে টাকা, রাহুলের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ঘোষণা মোদীর বাজেটে?
ক্ষমতায় আসলে দেশের গরিবদের মাসে নিশ্চিত আয়ের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তাঁর প্রতিশ্রুতিই হয়তো বাস্তবায়ন করে দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
মাসখানেক আগেই শোনা গিয়েছিল, গরিবদের অ্যাকাউন্টে মাসের শেষে টাকা পাঠানো নিয়ে আলোচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা ভোটের আগে বড় উপহার দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্তর্বর্তী বাজেটেই হতে পারে সেই ঘোষণা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম প্রকল্প (UBI) চালু করার ভাবনাচিন্তা করছে মোদী সরকার। এনিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠকও হয়েছে।
দেশের কয়েকটি রাজ্যে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে মাসের শেষে ফেলা হয় টাকা। এই প্রকল্পটিই এবার দেশজুড়ে গরিবদের অ্যাকাউন্টে মাসের শেষে ফেলা হবে নির্দিষ্ট। যাতে তাঁরা খরচ চালাতে পারেন।
শোনা যাচ্ছে, বেকারদের অ্যাকাউন্টে মাসের শেষে একটা অর্থ দেওয়া হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট আয়ের নীচে ব্যক্তি বা দারিদ্র সীমার নীচে থাকা ব্যক্তিদেরও এই প্রকল্পে সামিল করার ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের। এনিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দফতরের কাছে প্রস্তাবও চেয়ে পাঠানো হয়।
২০ কোটি মানুষ সামিল হতে পারেন এই প্রকল্পে। কোনও শর্ত ছাড়াই মাসের শেষে তাঁদের অ্যাকাউন্ট ঢুকে যাবে টাকা।
ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম প্রকল্পটা কী? এই প্রকল্পের আওতায় মাসের শেষে কোনও শর্ত ছাড়াই একটা নির্দিষ্ট অর্থ ফেলা হয় দেশের নাগরিকের ব্যাঙ্কখাতায়। ১৯৬৭ সালে এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন মার্টির লুথার কিং জুনিয়র। পাশ্চাত্যের অনেক দেশেই বেকার ভাতার চল রয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে ইতিমধ্যেই ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চলেছে পাইলট প্রকল্প। এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে টাকা। পরে সমীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁদের জীবনযাত্রা আমূল বদলে গিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে ইতিমধ্যেই ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চলেছে পাইলট প্রকল্প। এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে টাকা। পরে সমীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁদের জীবনযাত্রা আমূল বদলে গিয়েছে।
বিশ্বের আর কোথায় কোথায় চলছে এই প্রকল্প? সাইপ্রাস, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক প্রদেশ এবং ব্রাজিল, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন, সুইত্জারল্যান্ড ও ব্রিটেনে ইউবিআই চালু রয়েছে।
কিন্তু ভারতের মতো দেশে এই প্রকল্প চালু করতে গেলে প্রয়োজন বিশাল অর্থ। তার চাপ পড়বে রাজকোষে। এভাবে খয়রাতির রাজনীতি কতটা দেশের ভাল করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তো থেকেই যাচ্ছে।