বুরারি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, আত্মহত্যা করেননি ভাটিয়া পরিবারের সদস্যরা
দিল্লির বুরারিকাণ্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আত্মহত্যা নয়, দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছিল বুরারির ভাটিয়া পরিবারের ১১ জন সদস্যের। মনস্তাত্বিক ময়নাতদন্তের পর এই তত্ত্বে শিলমোহর দিয়েছেন গোয়েন্দারা।
গত ১ জুলাই সকালে দিল্লির বুরারিতে একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস একে সমবেত আত্মহত্যা বলে দাবি করে। তবে তদন্ত এগোতে বদলে যায় ঘটনাক্রম।
তদন্তকারীদের তরফে মনস্তাত্বিক ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট, ওই দিন মৃত্যুর জন্য গলায় ফাঁস দেননি কেউ। ভাটিয়া পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের বিশ্বাস ছিল মৃত্যুর পর আত্মা দেহ থেকে বেরিয়ে ফের জীবন্ত করে তুলবে তাঁদের।
মনস্তাত্বিক ময়নাতদন্তের জন্য ওই পরিবারের এক ছেলে ও এক মেয়েকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। এছাড়া আরও প্রায় ৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। সেই তদন্তের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের ধারণা, আত্মহত্যা করতে চাননি বুরারির ভাটিয়া পরিবারের সদস্যরা।
আসলে রাজস্থানের বাসিন্দা হলেও ২২ বছর ধরে বুরারিতেই বসবাস করছিল ভাটিয়া পরিবার। পরিবারের কর্তার মৃত্যু হয়েছিল কয়েক বছর আগে। বাড়িতে থাকতেন বৃদ্ধ মা, তাঁর বিধবা মেয়ে ও ২ ছেলে। বাড়ির নীচের তলায় দু'টি দোকান ছিল তাঁদের। ছোট ছেলে দাবি করত মৃত বাবার বিভিন্ন নির্দেশ শুনতে পায় সে। তার কথা মতো চললেই পরিবারের।
গত ১ জুলাই সকালে প্রকাশ্যে আসে বুরারিকাণ্ড। এক প্রতিবেশী প্রাতর্ভ্রমণের জন্য ভাটিয়া পরিবারের এক সদস্যকে ডাকতে আসেন। কারও সাড়া না পেলেও দেখেন বাড়ির দরজা খোলা। বাড়িতে ঢুকে তিনি দেখেন ছাদ থেকে ঝুলছে ১০টি দেহ। মাটিতে পড়ে বৃদ্ধ মায়ের দেহ।