সোমবার থেকে রাজ্যের গ্রিন জোনে চালু হচ্ছে বাস-ট্যাক্সি, আর কীসে কীসে ছাড় দেখে নিন
নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনে সোমবার থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথা নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনের ক্ষেত্রে বলবৎ হবে এই ছাড়গুলি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "দোকান খোলার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এখনও কোনও নির্দেশিকা আমরা পাইনি। তাই আমাদের কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তবে আমরা নিজেরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
মুখ্যমন্ত্রী জানান, "গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে পাড়ায় যেখানে একটাই দোকান আছে, সোমবার থেকে সেইসব ছোট একটা দোকান খুলবে। ছোট ইলেকট্রলিক্স দোকান, স্টেশনারি দোকান, বইয়ের দোকান, রঙের দোকান, মোবাইল শপ, ব্যাটারি চার্জিংয়ের দোকান, চা পাতা বিক্রির দোকান, পান-বিড়ির দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান, ইলেকট্রিকের দোকান, লন্ড্রি খুলবে। কিন্তু কোথাও ভিড় করা যাবে না। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে দোকান থেকে জিনিস নিয়ে বাড়ি চলে যেতে হবে। যেখানে হোম ডেলিভারি সম্ভব, সেখানে হোম ডেলিভারি করা হবে। পুলিস দেখে নেবে কোন কোন দোকান খুলবে, কোন কোন দোকান খুলবে না।"
তবে গ্রিন বা অরেঞ্জ জোনেও নাপিত, সেলুন, স্পা, পার্লার, মদের দোকান, চায়ের দোকান, শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স, টেলরিং দোকান এখন খুলবে না। হকার্স কর্নার, ফুটপাথের দোকানও খুলবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন, গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে জরুরি ভিত্তিতে ট্যাক্সি চালু হবে। কলকাতায় অরেঞ্জ জোনেও হলুদ ট্যাক্সিকে অল্প অল্প ছাড় দেওয়া হবে। যাত্রীসংখ্যা থাকবে ৩ জন। পুলিস দেখে নেবে গোটা বিষয়টি। গ্রিন জোনে জেলার মধ্যে বেসরকারি বাস চালু হবে। তবে বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। প্রতিদিন বাস স্যানিটাইজ করতে হবে। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলতে হবে। নিয়ম লঙ্ঘন করলে অনুমতি তুলে নেওয়া হবে। সোমবার থেকে নির্দেশ কার্যকর হবে।
গ্রিন জোনে আয়রন স্টিল প্ল্যান্ট, কনস্ট্রাকশন প্ল্যান্ট খুলবে বলেও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে অনুমতি আবশ্যিক। অনুমতি ছাড়া কোথাও কোনওকিছু খোলা যাবে না, তা এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, কনটেইনমেন্ট এরিয়ায় সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে। সেখানে এখনই কিছু করার নেই। রেশন, ব্যাঙ্ক, 'ধান দিন চেক নিন' চালু থাকছে। টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে। কোনও সরকারি প্রকল্প বন্ধ হচ্ছে না।