উধাও মর্টারের শব্দ, বন্ধ গুলির লড়াই, সীমান্তে শান্তির প্রতীক সেনার `Cafe Freedom`
নিজস্ব প্রতিবেদন: সালটা ২০১৬। হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উত্তপ্ত উপত্যকা। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর উরির সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় কয়েকজন সন্ত্রাসী। ৩ মিনিটে ১৭টি গ্রেনেড ছুঁড়ে কার্যত তছনচ করে দেয় সেনা ঘাঁটি। শহিদ হন ভারতীয় সেনার ১৭ জন বীর জওয়ান। আহত প্রায় ৩০ জন। ৬ ঘণ্টার গুলির লড়াই শেষে খতম হয় ৪ জঙ্গি। আর ভারতের ইতিহাসে এক ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার দগদগে ঘা হিসেবে থেকে যায় উরি হামলা (Uri Attack)।
২০১৬ থেকে Cut to ২০২১। উরির কামান আমন সেতুর (The Kaman Aman Setu post)-র কাছে একটি কফি শপ। যেখানে বসে পাহাড় দেখতে দেখতে কপির কাপে চুমুক দিচ্ছেন বহু মানুষ। চার বছর আগে যে জায়গা মর্টারের আওয়াজে উত্তপ্ত থাকত, সেখানে আজ পরম শান্তি। আর ওই ক্যাফেটি হল নিয়ন্ত্রণ রেখার উরি সেক্টরে ভারতীয় সেনা খোলার ক্যাফেটেরিয়া 'Cafe Freedom'।
ভারতীয় সেনার মেজর বিশাল দেব বলেন, 'কামান পোস্টে আগত সমস্ত মানুষকে এই ক্যাফেতে স্বাগত। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মনে স্বস্তি দেবে এই ক্যাফে। ব্রিজে সেলফি তোলার পাশাপাশি 'Cafe Freedom'-তে এসে চা-জল খাবারের খেতে পারবেন সকলে। সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য।'
The Kaman Aman Setu পোস্ট হল ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্যতম পথ। জম্মু সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেরও (Pakistan-occupied Kashmir) যোগসূত্র রক্ষা করে এই পোস্ট। যদিও ২০১৯ থেকে বন্ধ এই বাণিজ্যিক পথ। এর ফলে আনুমানিক ২৫০০ মানুষের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে, যারা সরাসরি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের আশা, ফের একদিন চালু হবে ওই পথ। ফের শুরু হবে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।
২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং Sher-i-Kashmir স্টেডিয়াম থেকে মুজাফ্ফরাবাদ পর্যন্ত ‘Karwaan-e-Aman’ নামে একটি বাস পরিষেবার উদ্বোধন করেন।
২০০৮ সালে, উরি-মুজফ্ফরাবাদ এবং পুঞ্চ-রাওয়ালকোট সংযোগকারী ওই পথেই শুরু হয় ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।