পুলিস বাধা দিলেও কমিশনারের বাড়ির বাইরে গোঁ ধরে দাঁড়িয়ে সিবিআই
পুলিস বাধা দিলেও রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে গোঁ ধরে দাঁড়িয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। গোটা বিষয়টি অতিরিক্ত ডিরেকটরকে জানিয়েছে সিবিআই।
রবিবার সন্ধেয় কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের লউডনস্ট্রিটের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের বাধা দেন পুলিস কর্মীরা। স্থানীয় থানায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিবিআই অফিসারদের বলা হয়, আপনারা থানায় যান। সেখানে নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। পুলিস নিশ্চিত হতে চাইছে, সমস্ত নথি হাতে রয়েছে সিবিআইয়ের। সিবিআই ডিএসপি বর্ধনের সঙ্গে সঙ্গে কথাবার্তা চালান পুলিস আধিকারিকরা।
সিবিআইয়ের একটি দল শেক্সপিয়র থানায় গিয়ে কথা বলছেন। আর একটি দল এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে। ফলে টানটান উত্তেজনা লাউডন স্ট্রিটে পুলিস কমিশনারের বাসভবনের সামনে।
সিবিআই স্পষ্ট জানিয়েছে, যে কাজ করতে এসেছেন, সেটা সম্পূর্ণ করেই যাবেন। তারা নিয়ম মেনেই এসেছেন।
এর আগে কলকাতা পুলিস বিবৃতি দিয়ে জানায়, শনিবার থেকে সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে, সারদাকাণ্ডে কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের খোঁজ করছে সিবিআই। এমনকি তিনি তিন দিন ধরে বেপাত্তা বলে খবরও করা হয়েছিল। এই ধরনের খবর ভিত্তিহীন। তার তীব্র নিন্দা করছে কলকাতা পুলিস।কলকাতা পুলিস কমিশনার শহরেই রয়েছেন। নিয়মিত অফিসেও আসছেন। মাঝে ৩১ জানুয়ারি একদিনের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন রাজীব কুমার। ভিত্তিহীন খবর ছড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিস। তাদের সতর্কবার্তা, সঠিক তথ্য জোগাড় না করে কলকাতা পুলিস ও কমিশনারের মানহানি করা হয়ে থাকলে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে পাশে দাঁড়ান পুলিস কমিশনারের।
টুইটারে মমতা লেখেন, চরম প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলিকেই নিশানা করছে না তারা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিসকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এবং সাংবিধানিক প্রাতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে।
রাজীব কুমারের পাশে দাঁড়িয়ে মমতার মন্তব্য, কলকাতা পুলিস কমিশনার বিশ্বের অন্যতম সেরা আধিকারিক। তাঁর ন্যায়পরায়নতা, সাহস ও সততা প্রশ্নাতীত। দিবারাত্র কাজ করছেন তিনি। অতিসম্প্রতি একদিন ছুটি নিয়েছিলেন। মিথ্যা যতই রটাও সেটা মিথ্যাই থাকবে।