`চা খেতে চাও চলে এসো`, ফেসবুকে সকলকে স্বাদর আমন্ত্রণ সেই `চা-কাকু`র
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমরা কি চা খাবোনা? খাবো না আমরা চা? এই উক্তি হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সঙ্গে সেই মৃদুল দেব। যাকে সকলে চা কাকু বলেই চিনে গিয়েছিল। এরপর নানা ট্রোল, নানা হাসি মজার মিম। কিন্তু এর পিছনে যে একটা কঠিন জীবন আছে মৃদুল দেবের তা কেউ জানত না।
হঠাৎই সেই আধ পেট খেয়ে থাকা মানুষটার জীবনযাপন প্রকাশ্যে আসে। সকাল বেলা চা বিস্কুট খাওয়াটা তার জন্য় কেন জরুরি ছিল। তাও প্রকাশ্যে আসে। এরপরই সাহায্যের হাত এগিয়ে দেন অনেকে। মিমি চক্রবর্তীও তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান।
৫২ বছরের সেই মৃদুল দেব ২০২১ এর লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর সেই চা-কেই নিজের জীবনের চালিকাশক্তি হিসেবে বেছে নিলেন। হাতে কাজ ছিল না। ২০২০ এবং ২০২১ এর ১৮ই জুলাই পর্যন্ত যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর দেওয়া চাল ডালে কোনোক্রমে সংসার চলছিল।
ছেলেও বেকার। কারণ ২০২০-র ফেব্রুয়ারি মাসের পর যে ডাক্তারের চেম্বারে যে কাজ করত, সেটিও চলে যায় । অবশেষে নিজের দিনমজুরির উপার্জন থেকে জমানো টাকা বিনিয়োগ করে বাড়ির পাশেই চায়ের দোকান দিলেন চা কাকু।
ট্রল হওয়ার পর সমবেদনাও পেয়েছেন প্রচুর। আলাদা করে হ্যাসট্যাগ চা কাকু পেজ তৈরি হয়েছে ফেসবুকে। দোকান চালু হওয়ার পর চা পানের উদ্দেশে শুধু নয়, মৃদুল দেবকে সামনে থেকে দেখতেও আসেছেন মানুষ।