Chalsa Tiyabon: পুজোর আগে ডুয়ার্সের পর্যটনকে আলো দেখাচ্ছে `টিয়াবন`
সবুজে-ঘেরা পরিবেশের মধ্যে চালসার 'টিয়াবন যুব আবাস'। ঝাঁ-চকচকে আবাসটি ডুয়ার্স অঞ্চলের পর্যটনক্ষেত্রে এক নতুন আলোর দিশা দেখাচ্ছে বলেই শোনা যাচ্ছে। এই করোনা-পর্বেও সেখানে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন মানুষ।
এখান থেকে টিয়া পাখির উড়ে যাওয়া, দূরে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্যবেক্ষণ করার হাতছানি ভ্রমণ পিপাসুরা ভালই উপভোগ করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। টিয়াবন পর্যটক আবাসের পাশেই খরিয়ার বন্দর বনাঞ্চল। আসন্ন পুজোর ছুটির দিনগুলিতে ভাল বুকিং রয়েছে বলেই জানিয়েছেন যুব আবাস কর্তৃপক্ষ।
টিয়াবনের মাঠেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত সময়ে বেশ কয়েকদফায় সভা করে গিয়েছেন। পাশেই হেলিপ্যাড। জানা গেল, ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই পথ চলা শুরু হয়েছিল যুব আবাসটির।
মেটেলি ব্লক যুব কল্যাণ আধিকারিক অর্ণব ভট্টাচার্য বলেন, 'এখানে ৭০০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত ঘর রয়েছে। স্বল্পমূল্যের ডর্মিটরিরও ব্যবস্থা আছে। রয়েছে শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘর ও কনফারেন্স হল।' যুব আবাস সূত্রেই জানা গিয়েছে, আউটডোর শুটিং-সহ নানা কাজে আবাসটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। রয়েছে অনলাইন বুকিং-এর বন্দোবস্ত।
স্থানীয় এক যুবক সহিদুল ইসলাম পর্যটক আবাসটির ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্বে। তিনি জানান--আমরা জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত খাবারেই জোর দিয়ে থাকি। স্বল্পমূল্যে খাবার পরিবেশন করি। পর্যটকেরা এসে স্বচ্ছন্দে খেতে পারেন।
যুব আবাস থেকে খুব কাছেই মূর্তি, গরুমারা, লাটাগুড়ি, চাপড়ামারি। রাতে যুব আবাস থেকেই অনেক সময় বন্য জন্তুদের দেখা পাওয়া যায় বলে শোনা যাচ্ছে। চালসা রেল স্টেশন থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে এই আবাস। নিউ মাল স্টেশন থেকে ১০ কিলোমিটার। এখানে আসতে সব সময়ই বাস বা টোটো পাওয়া যায়।