বাংলার হেরিটেজ পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে চন্দননগর, রাজ্য ও ফরাসী সরকারের মৌ-স্বাক্ষর
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আস্ত ইতিহাস। গঙ্গার ওপার বহন করেছে চলেছে ফরাসী শাসনের বাংলাকে। কথা হচ্ছে ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগরের।
শহরজুড়ে রয়েছে অন্তত ৯৯টি বাড়ি। যা তৈরি ফরাসী স্থাপত্যধারায়। শুরু হল বাংলার পর্যটন মানচিত্রে চন্দননগরকে শামিল করার প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার ফরাসী কনসাল জেনারেল ও রাজ্যের পর্যটন সচিবের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় মৌ।
ফ্রান্সের পর্যটকরা বাংলায় এলে চন্দনগরে ঢুঁ মারে। সেজন্য পর্যটন হাব গড়ে তুলতে আগ্রহ দেখিয়েছে ফরাসি সরকার। ঠিক হয়েছে যৌথভাবে এককালের ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগরে সেই আমালের বাড়িগুলি সংস্কার করা হবে।
ফ্রেঞ্চ রেজিস্ট্রি অফিসকে সংস্কার করে বুটিক হোটেল হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। থাকছে হোম স্টে, শব্দ ও ধ্বনির ব্যবস্থাও। পুরনো স্থাপত্য অপরিবর্তিত সংস্কার করা হবে। নদীপথে যেতে পারবেন পর্যটকরা।
বৃহস্পতিবার তাজবেঙ্গলে মৌ স্বাক্ষরের পর ফরাসি কনসাল জেনারেল ভার্জিন কোর্টেসাল বলেন,'আজকের দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা হবে পর্যটনকেন্দ্র।' পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর কথায়,'এই কলোনিয়াল হেরিটেজ গড়ে তুলতে খরচ করবে রাজ্য সরকার। প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে ফ্রান্স।'