`গ্রিন হাউস` গ্যাস কী ভাবে `গ্রিন চিলি`র উপর থাবা বসিয়ে লঙ্কাকাণ্ড বাধাচ্ছে জানেন?
কৃষি বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করে বলছেন, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বা নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় উৎপাদিত হয় কাঁচালঙ্কা। লঙ্কা গাছের চারা উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না। অথচ এ বছর বাজারে কাঁচালঙ্কার সরবরাহ কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হল এই উচ্চ তাপমাত্রা!
৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা লঙ্কাগাছ সহ্য করে নিতে পারে। এর বেশি হলেই সমস্যা হয়। সমস্যা হয় লঙ্কার পরাগমিলনে। এদিকে এই মরসুমে অনেক দিনই তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি থাকায় কাঁচালঙ্কার ফলন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
এখন আবহাওয়ার যা অবস্থা, তাতে তো আর তাপমাত্রা কমার কোনও লক্ষণই নেই। তা হলে কি লঙ্কার ফলন বরাবরের জন্য ধাক্কা খাবে? না, এই অবস্থায় কৃষি বিশেষজ্ঞরা খরা ও তাপমাত্রা-সহিষ্ণু কাঁচালঙ্কার জাত উদ্ভাবন করার কথা বলছেন।
কেউ কেউ পলিনেট হাউস তৈরি করে লঙ্কা চাষের পরামর্শও দিচ্ছেন। কী এই পলিনেট হাউস? পলিনেট হাউস প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারী বৃষ্টি, তীব্র দাবদাহ, কীটপতঙ্গ বা ভাইরাসজনিত রোগের আক্রমণ ইত্যাদি ঠেকিয়ে রাখার এক ব্যবস্থা।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি সামাল দিয়ে আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ, বীজতলার মান নিয়ন্ত্রণ, অসময়ে চাষ-সহ আধুনিক কৃষিকাজের জন্য ‘পলিনেট হাউসের’ কোনও বিকল্প নেই। গ্রিনহাউসের আদলে দেশীয় কৃষি-ব্যবস্থাপনায় নতুন সংযোজন এই ‘পলিনেট হাউস’। এর মাধ্যমে শীতকালীন সবজি যেমন গ্রীষ্মকালে উৎপাদন করা যাবে, তেমনি গ্রীষ্মকালের সবজিও শীতে উৎপাদন করা যাবে।
কাঁচালঙ্কার দারুণ পুষ্টিগুণ। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে কাঁচালঙ্কা। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। এমন একটি সবজি কোনও ভাবেই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না। তাই কী ভাবে আসন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাঁচালঙ্কার ফলন স্বাভাবিক রাখা যায়, তা নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে শুরু করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল।