কবে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসে, শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানাল চিন!
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে করোনাভাইরাস নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করল চিন। রবিবার চিন জানায়, উহানে প্রথম করোনা ধরা পড়ে ২৭ ডিসেম্বর। ১৯ জানুয়ারি প্রথম বোঝা যায় এই ভাইরাসটির সংক্রমণের গতি ও মারণ ক্ষমতা।
৬ জুন, শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলিত হয়ে গঠিত হয়েছে ‘ইন্টার পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়না’ বা IPAC। এই জোটের মুখ্য উদ্দ্যেশ্য হল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার রক্ষা করা। কী ভাবে করোনা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে এই জোট। তার পরই চিনের এই পদক্ষেপ।
শ্বেতপত্র প্রকাশ করে চিন জানিয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর উহানের একটি হাসপাতালে করোনা ধরা পড়ার পরেই বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়। শুরু হয় টেস্টও। প্রাথমিক সব রকমের সতর্কতা নেওয়া হয় সে সময় থেকেই। তবে এই ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক হওয়ায় এটির সংক্রমণ রোখা যায়নি। ১৯ জানুয়ারি বিশেষজ্ঞরা জানান, এই ভাইরাস খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়।
রবিবার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে চিনের অন্যতম গবেষক ওয়াং গুয়ংফা জানান, খুব দ্রুত উহানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন অসংখ্য মানুষ। তবে দেখা গিয়েছে, যাঁরা সে সময় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে উহানের ওয়েট মার্কেটের (উহানের বিতর্কিত কাঁচা মাছ, মাংসের বাজার) সরাসরি কোনও যোগাযোগ ছিল না। সুতরাং, উহানের এই ওয়েট মার্কেট থেকেই যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না।
গুয়ংফা এদিন আরও জানান, বাদুড় বা প্যাঙ্গোলিন থেকেই করোনা ছড়িয়েছে বলেও অনেকে মনে করছেন। কিন্তু এখনও এই ধারণার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ হাতে আসেনি। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে চিন গোটা বিশ্বের পাশে রয়েছে বলে দাবি করেন গবেষক ওয়াং গুয়ংফা। তিনি জানান, বিশ্ব খুব তাড়াতাড়ি করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ জয়লাভ করবে।