করোনা থেকে শিক্ষা নিল চিন! চাইনিজদের খাবারের মেনু থেকে বাদ কুকুরের মাংস
করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছিল উহানের প্রাণীদের মাংস বিক্রির বাজার থেকে। এমন যুক্তির কোনও প্রমাণ ছিল না। তবে রটেছিল এমনটাই। করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর উহানের সেই বাজার কিছুদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে আবার সেই বাজার খুলেছে কিছুদিন আগে। রমরমিয়ে সেখানে আবার বিক্রি হচ্ছিল বিভিন্ন প্রাণীদের মাংস। তবে এবার আর চিনের কোনও বাজারেই কুকুরের মাংস বিক্রি হবে না। চিন সরকার কুকুরের মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছে।
চিনের শেনজেন শহরে আগেই কুকুর, বিড়ালের মাংস নিষিদ্ধ হয়েছিল। এবার গোটা দেশে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে কুকুরের মাংস। চিন সরকার জানিয়েছে, লাইভস্টক হিসাবে আর কুকুরকে গণ্য করা হবে না। অর্থাত্, প্রাণীসম্পদের তালিকা থেকে কুকুরকে বাদ দিয়ে এতদিনে পোষ্য হিসাবে স্বীকৃতি দিল চিন।
চিন সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পোষ্য হিসাবে কুকুর ও বিড়ালের সঙ্গে মানুষের মেলামেশা ্অনেক বেশি। উন্নত দেশগুলিতে এমনকী হং কং, তাইওয়ানেও কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। আমরাও মানব সভ্যতার চেতনার কথা মাথায় রেখে কুকুরের মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করছি।
ফেব্রুয়ারি মাসে চিন সরকার সবরকম বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার পরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রি চলছিল।
উপযুক্ত প্রমাণ না থাকলেও গবেষকদের একাংশ মনে করেন, বাদুর বা ওই জাতীয় কোনও প্রাণী থেকেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। তার পর থেকেই চিনের সমালোচনায় সরব হয়েছিল বহু দেশের মানুষ।