দশ বছর পর মাসুদ নিয়ে চিনকে মত বদলে বাধ্য করিয়ে শক্তি বোঝাল ২০১৯-এর ভারত
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ১০ বছর আগে থেকে প্রক্রিয়া শুরু করেছিল ভারত। কিন্তু বারবার বাধা দিচ্ছিল চিন।
২০০৯ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে মাসুদ আজহারকে আন্তজার্তিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। শুধুমাত্র ভারতেরই প্রস্তাব ছিল তখন।
২০১৬ সালে আরও একবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রস্তাব দেয় মোদীর ভারত। তখন পাশে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। কিন্তু বেঁকে বসে চিন।
২০১৭ সালে আবার প্রস্তাব দেয় ভারত। সেবারও আপত্তি জানায় পাক-দরদী চিন।
চলতি বছরে ফেব্রুয়ারিতে ফের রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রস্তাব দেয় ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি দেশই দাঁড়ায় ভারতের পাশে। প্রস্তাব দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। তাতে সম্মতি দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইতালি ও জাপান।
পুলওয়ামা হামলার দায় স্বীকার করে জইশ-ই-মহম্মদ। এরপর মাসুদের জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক চালায় ভারত। একইসঙ্গে চলতে থাকে কূটনৈতিক দৌত্য। ফরাসী সরকার মাসুদ আজহারের সমস্ত সম্পত্তি ফ্রিজ করার ঘোষণা করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো শক্তিধর দেশগুলি ভারতের পাশে দাঁড়ানোয় একঘরে হয়ে পড়ে চিন। আর সেই চাপেই তারা নতিস্বীকার করতে বাধ্য হল বলে মত কূটনৈতিক মহলের একাংশের।
আজহার মাসুদ সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার পরই টুইটারে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দির জানান, ছোট, বড় সবাই হাত মিলিয়েছে। মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘে। সবার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা হওয়ায় পাকিস্তানের বাইরে পা রাখতে পারবে না মাসুদ আজহার। তার সমস্ত সম্পত্তি ফ্রিজ করা হবে। অস্ত্রও কিনতে পারবে না জঙ্গি নেতা।