`বাম`জাগরণে প্রথমবার স্বাধীনতা দিবস উজ্জাপন সিটুর?
ঠেকায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে! সেই প্রবাদই কি সত্যি করল সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস?
এবছর ১৪ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস উজ্জাপন করতে চলেছে সিটু। উল্লেখ্য, কস্মিনকালেও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেনি সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন।
১৪ অগস্ট ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির পাদদেশে বিকাল ৫টায় জড়ো হবেন সিটু কর্মীরা। সেখানেই মধ্যরাতে হবে স্বাধীনতার উজ্জাপন। সিটু নেতা অনাদি সাহু বলেন, ''এই ধরনের উদ্যোগ দেশজুড়ে প্রথমবার নেওয়া হয়েছে। আমরা বিকেল ৬টা থেকে পরের দিন সকাল ৬ পর্যন্ত জাগব। ধর্মতলায় তাঁবু খাটাব। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই কর্মসূচি নিয়েছি''।
শুধু যে স্বাধীনতার উজ্জাপন তাই নয়, কর্মসূচির নামেও রয়েছে চমক। কী রকম?
বিভেদের রাজনীতি, শ্রমিক-কৃষক আত্মহত্যা, জাতপাত, ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন, ও স্বাস্থ্য-বাসস্থানের মতো চিরাচরিত ইস্যু ভিত্তি করে কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন।
তবে কর্মসূচির নামেই রয়েছে খটকা। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে 'সামুহিক জাগরণ'।
এর আগে কখনও সিটু বা বামপন্থী দলগুলির কর্মসূচিতে 'জাগরণ' শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটেনি। সাধারণত 'জাগরণ' কর্মসূচি নেয় আরএসএস। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ নামে আস্ত একটি সংগঠন রয়েছে সঙ্ঘের।
তাহলে কি রাজ্যে ক্রমবর্ধমান হিন্দুত্বের আঁচ লাগল সিটুর গায়ে? নিন্দুকরা বলছেন, সিটুর কর্মসূচির নামকরণে সঙ্ঘের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে আদৌ কি রাজ্যে 'বাম'জাগরণ হবে, তার উত্তর দেবে ভবিষ্যত।