Jalpaiguri: জমির মালিক কে? দুই পরিবারের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ১ জনের, আহত ৬
নিজস্ব প্রতিবেদন: জমির মালিক কে? দুই পরিবারের বিবাদ বদলে গেল সংঘর্ষে। প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি। দু'পক্ষের হাতাহাতি গুরুতর জখম কমপক্ষে ৬ জন। বাদ গেল না বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেল পুলিস। গ্রেফতার ১১ জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া গড়ালবাড়ি পঞ্চায়েতে শুভচনী গ্রামে।
জলপাইগুড়়ি সদর ব্লকের কোতুয়ালি থানার অন্তর্গত শুভচনী গ্রাম। এই গ্রামেই সপরিবারে থাকেন আমজান আলি ও আয়ুব আলি। ২২ বিঘা জমি নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ দীর্ঘদিনের।
পঞ্চায়েত থেকে সমস্যা মেটানো চেষ্টা যে হয়নি, তা কিন্তু নয়। দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সালিসি সভা বসেছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু সমাধানসূত্র মেলেনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধে জমি ফের বিবাদে জড়িয়ে পড়েন আমজান আলি ও আয়ুব আলির পরিবার সদস্যরা। এবার রীতিমতো সংঘর্ষে বেঁধে যায়। সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন ৭ জন।
আহতদের সকলেই প্রথমে ভর্তি করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মহম্মদ মফিজউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
এদিন মফিজুদ্দিনে মৃত্যু সংবাদ পৌঁছতেই ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। রীতিমতো ভাঙচুর চালানো হয় ৯টি বাড়িতে। ৫টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
খবর পেয়ে শুভচনী গ্রামে পৌঁছয় পুলিস ও দমকল। এলাকায় নামানো হয় ব়্যাফও। জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত পুলিস সুপার জানিয়েছেন, পুলিসি টহল চলছে। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে।
জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে আবার ফোরলেন রাস্তার জন্য জমি মাপতে এসে বাধার মুখে পড়লেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের (NHA) আধিকারিকরা। ঝাটা হাতে রাস্তা নামলেন মহিলারা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন খোদ ধূপগুড়ি থানার আইসি। তুমুল উত্তেজনা ছড়াল এলাকা।