মধ্যপ্রদেশে যে ইস্যুগুলোর জন্য ব্যাকফুটে বিজেপি
চম্বল- যে চম্বল ডাকাতদের গড় বলে মনে করা হত, আজ ডাকাতদের রমরমা না থাকলেও আইনশৃঙ্খলা তলানিতে নেমেছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। দলিতদের সমস্যা প্রকট এখানে। সম্প্রতি ৬ দলিত খুনের প্রতিবাদে ভিন্ধ, গোয়ালিয়র, মোরেনার দলিতরা ভারত বনধ ডাকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শিবরাজ সিং যদি ক্ষমতাচ্যুত হন তাহলে অন্যতম কারণ দলিতদের সমস্যা। অভিযোগ ওঠে, এই খুনের পিছনে উচ্চবর্ণের হাত রয়েছে বলে। অন্যদিকে গোয়ালিয়র হল সিন্ধিয়াদের গড়। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে কংগ্রেসের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠায় কংগ্রেস ভাল ফলাফল করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বুন্দেলখণ্ড- মনে করা হয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্রতম অঞ্চল বুন্দেলখণ্ড। পরপর ৪ বছর খরা হয় এখানে। বিরোধীদের অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে কৃষকের দুরবাস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। আরও অভিযোগ, খরার সময় সরকারি ত্রাণে ব্যাপক দুর্নীতি হয়। সাধারণ মানুষ ত্রাণ পাননি বলে অভিযোগ।
বিন্ধ্য- এই অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া নর্মদা নদীর অববাহিকায় নির্মম ভাবে জঙ্গল কাটার অভিযোগ রয়েছে শিবরাজের সরকারের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের আরও দাবি, এ বিষয়ে জানা সত্ত্বেও চুপ করে ছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। সবুজ নিধন ছাড়াও অনুন্নয়ন, বেকারত্ব প্রবল মাথাচাড়া দিয়েছে বিন্ধ্য অঞ্চলে।
মালওয়া- মধ্যপ্রদেশের সবচেয়ে বড় অঞ্চল মালওয়া। এমন প্রবাদ আছে, মালওয়া যার মধ্যপ্রদেশে তার দখলে। কিন্তু এই কৃষিপ্রধান অঞ্চলে কৃষক বিক্ষোভ সবথেকে বেশি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এখানে কৃষকদের বিক্ষোভে পুলিস গুলি চালায়। ৬ জন কৃষক মারা যায়। বিজেপি ব্যাকফুটে হওয়ার পিছনে এটি অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভোপাল- মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালকে বলা হয়ে থাকে মধ্য ভারত। শিবরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা ব্যাপম কেলেঙ্কারির দানা বাঁধে এই ভোপাল থেকেই। এখানকার শিক্ষিত্ মানুষের অভিযোগ, সরকারি চাকরি পরীক্ষা, নিয়োগ, ভর্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ বালি খাদানের অভিযোগ রয়েছে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে।
সাতপুরা- মধ্যপ্রদেশের দক্ষিণাঞ্চল সাতপুরা। এখানে অধিকাংশ দলিত সম্প্রদায়ের বাস। নর্মদা নদীর অববাহিকায় একই রকম ভাবে জঙ্গল কেটে সাফ করা হয়েছে। এর ফলে জনজাতিদের জীবনজীবিকা সমস্যার মুখে পড়েছে। খরার জেরে ভালভাবে চাষ হয়নি।