পড়ন্ত বিকালে দিঘার সৈকতের ধারে দোকানে ঢুকে চা বানিয়ে খেলেন মুখ্যমন্ত্রী!
ভিড়ে ঠাসা সৈকত। তারই মধ্যে কড়া প্রহরা। মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন বলে কথা। পুলিস প্রশাসন থেকে নিরাপত্তারক্ষী- সকলেই সদা সতর্ক। কিন্তু তিনি তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! ঠিক কী করতে চলেছেন, এক মুহূর্ত আগে পর্যন্তও তা কেউ ঘুনাক্ষরে টের পাবেন না। দিঘার সৈকতে হাঁটতে বেরিয়ে আচমকাই ঢুকে পড়লেন রাস্তার ধারে একটি চায়ের দোকানে।
মুখ্যমন্ত্রীর পিছনে রয়েছেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও। দোকানদার তো হতচকিত! আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে উঠে তিনি আগে মুখ্যমন্ত্রীর আপ্পায়নের যথাসম্ভব ব্যবস্থা করছেন! কিন্তু না, আরও বড় চমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
দোকানদারে হাত থেকে নিয়ে নিলেন চা বানানোর দায়িত্ব। এক হাতে ছেঁকনি আর অন্য হাতে চায়ের লিকারের পাত্র। একেবারে পাকাপোক্ত গৃহিনীর মতো চা বানিয়ে ফেললেন নিমেশেই।
মুখ্যমন্ত্রীকে এই ভাবে ‘চাওয়ালি’র ভূমিকায় দেখে তো স্তম্ভিত সকলেই। কেউ মুঠোফোনে এই দৃশ্য বন্দি করে রাখতে ব্যস্ত, কেউ বা চোখভরে শুধু দেখে নিতেই।
চা বানানোর পর দোকানেই বসে চা খেলেন তিনি। কথা বললেন আশেপাশের মানুষের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী নন, একেবারেই ‘দিদি’র ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে।
সোমবার বিকেলেই জেলা সফরের কর্মসূচির অংশ হিসাবে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘাতে হেলিকপ্টারে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন রাতেই সৈকতে বেরিয়ে পড়েছিলেন একা হাঁটতে। তাঁর নৈশপ্রহরের কথাও ঘুনাক্ষরে টের পাননি কেউ।
জনসংযোগ বাড়াতে তত্পর মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে হাওড়ার বস্তিবাসীদের একেবারে অন্দরমহলে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। শুনেছিলেন তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা। এবার দিঘাতে গিয়েও মৈত্রাপুর গ্রামে গাড়ি থেকে নেমে চলে যান আরতি সিংহ নামে এক গ্রামবাসীর বাড়ির উঠোনে। সেখানে দলের নেতা বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে চলে আরতি এবং গ্রামের মানুষের সঙ্গে গল্প।
জনসংযোগের যাত্রা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকা সকলেরই মন কাড়ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।