কফি দিয়ে তৈরি চশমা! পরবেন না খাবেন?
কফি খান তো? এবার কফি পরতে পারবেন। সে আবার কী কথা? খাওয়ার জিনিস গায়ে পরা যায় নাকি। একদম যায়। ভাবছেন হয়তো প্লাস্টিক দিয়ে যদি জামাকাপড় কিংবা জুতো তৈরি করা যেতে পারে তাহলে কফি দিয়েও হবে। কিন্তু এখানে একটু সংশোধন করে দিই। কফি দিয়ে পোশাক নয়, কফি দিয়ে চশমার ফ্রেম।
আরও চমকে গেলেন তো? এই অবিশ্বাস্য কাজটি করে দেখিয়েছেন ইউক্রেনের এক ব্যবসায়ী ম্যাক্সিম হ্যাভ্রিলেঙ্কো।গত পনেরো বছর ধরে ম্যাক্সিমের পরিবার আইওয়ের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই ব্যবসায় বাবার সঙ্গী ছিলেন ম্যাক্সিম। বাবার পর এখন একাই ব্যবসার দায়িত্ব সামলান তিনি। আগাগোড়াই চিরাচরিত চশমায় নতুনত্ব আনার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতেন ম্যাক্সিম। সেই ভাবনাচিন্তা থেকেই পরিবেশবান্ধব চশমার ফ্রেম তৈরি করার কথা মাথায় এল তাঁর।
প্রথমে দারচিনি দিয়ে চশমার ফ্রেম তৈরি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সফল হননি। তারপর কফির কথা মাথায় আসতেই কেল্লা ফতে। কফির গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করে ফেললেন চশমার ফ্রেম। বীজ থেকে কফি তৈরি হওয়ার পর যে গুঁড়োটা থেকে যায় সেটা ব্যবহার করা হয় চশমার ফ্রেম তৈরি করতে। কফির গুঁড়োকে ফ্ল্যাক্স এবং কিছু ভেষজ তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মন্ড তৈরি করে ছাঁচে ফেলা হয়। তারপর কম্পিউটারের মাধ্যমে এই ছাঁচ কেটে চশমার ফ্রেম তৈরি করা হয়।
আধুনিক যুগের ফ্যাশানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফ্রেমের ডিজাইন তৈরি করা হয়। প্লাস্টিকের তুলনায় কফি দিয়ে তৈরি এই চশমার ফ্রেম একশো শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য। চলতি বছরে দশ হাজার ফ্রেম তৈরি করার লক্ষ্য ম্যাক্সিমের কোম্পানির। দুহাজার একুশ সালে এই লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়াবে এক লাখের কাছাকাছি।
একটি ফ্রেম কিনতে প্রায় নব্বই ডলার অথবা সাড়ে ছয় হাজার টাকা খরচ করতে হবে। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় কফি। গড়ে প্রতিদিন পঁচিশ কোটি কাপ কফি খাওয়া হয় বিশ্বজুড়ে। ইতিমধ্যেই কফির বর্জ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফার্নিচার, কাপ, প্রিন্টিংয়ের জন্য কালির মতো নানা জিনিস।