Coromondol Express Accident Update: শুক্রবার বিকেলে শেষ ভিডিয়ো কল স্ত্রীয়ের সঙ্গে, রবির ভোরে বাড়ি পৌঁছল কফিনবন্দি দেহ!
অরূপ লাহা: বিকেল ৩টে ২০ নাগাদ শেষবার ভিডিয়ো কলে কথা হয়েছিল স্ত্রী শিল্পী খাতুনের সঙ্গে। আর রবিবার ভোরে কফিনবন্দি দেহ পৌঁছল গ্রামের বাড়িতে।
অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের কুমীরকোলা গ্রামের বাসিন্দা সফিক কাজি। বয়স ২৫ বছর। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর।
বাড়িতে চার বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে সফিকের। অবুঝ মন এখনও বুঝতে পারছে না যে, বাবা আর ফিরবে না! স্থির চোখে শুধু সবাইকে দেখে যাচ্ছে সে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার ভোরে সফিকের খোঁজে বাড়ি থেকে রওনা দেন দাদা বাবু কাজি। তারপর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে হাসপাতালের মর্গে লাশের স্তূপের মধ্যে থেকে ভাই সফিক কাজীর নিথর দেহ খুঁজে বের করেন।
পেটের তাগিদে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। কাটোয়ার বরমপুরের রাজমিস্ত্রী নূর মহম্মদের সঙ্গে চেন্নাই যাচ্ছিলেন সফিক। নূর মহম্মদ এখনও আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি।
এদিন সকাল থেকেই বাড়িতে ভিড় করেছেন পড়শিরা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও। এদিন সকালেই বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম পৌঁছে যান সফিকদের বাড়িতে।
মৃতের দাদা বাবু কাজি বলেন, চূড়ান্ত অব্যবস্থা ওখানে। এলাকার বিভিন্ন স্কুল ঘরে সারি সারি লাশ পড়ে আছে। তার মধ্যে থেকে খুঁজতে হচ্ছে। আহতদেরও ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। ওদিকে এদিন বাসন্তীর গ্রামে এসে পৌঁছয় একই পরিবারের ৩ ভাইয়ের দেহ।