১৮ বছরের ওপরে দেশের ৭.১ শতাংশ মানুষের দেহে মিলেছে করোনার অস্তিত্ব, বলছে সেরো-সার্ভে
সেরো সার্ভে বা সেরোলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্টে উঠে এল দেশে করোনা সংক্রমণের এক ভয়ঙ্কর চিত্র। ১৭ অগাস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইসিএমআর পরিচালিত সেরো-সার্ভের এক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দেশে ১৮ বছর বা তার ওপরে ৭.১ শতাংশ মানুষের দেহে মিলেছে করোনা সংক্রমণের চিহ্ন। এই হিসেব অগাস্টের শেষ পর্যন্ত।
কী এই সেরো সার্ভে বা সেরোলজিক্যাল সার্ভে?
এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা হয় তাঁর রক্তে কোনও রোগের অ্য়ান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা। দেহে কোনও রোগ হলে মানুষের দেহে তা প্রতিরোধ করার জন্য একটি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এতে বোঝা যায় দেহে রোগের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা।
গত ১১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত প্রথম সেরো সার্ভে করা হয় দেশের ৭০০ গ্রাম বা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। সেই সময়ের থেকে এবার সংক্রমণের হার ০.৭৩ শতাংশ বেশি। এই সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে দেশের বহু মানুষ এখনও সংক্রমিত নন তবে তাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
এবার এই সেরো-সার্ভের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে অগাস্টের শেষপর্যন্ত ১০ বছরের বেশি বয়সের প্রতি ১৫ জনের মধ্যে একজন করোনা সংক্রমিত। এই হার বস্তি এলাকায় বেশি। অর্থাত্ করোনা মোকাবিলায় যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার গড়ে ওঠার প্রয়োজন ছিল তা এখনও গড়ে ওঠেনি।
প্রথম সেরো-সার্ভেতে দেখা গিয়েছিল শহরের বস্তি এলাকার যেখানে সেরো পজিটিভিটি ১৫.৯ শতাংশ সেখানে গ্রামীণ এলাকায় তা ৬৯.৪ শতাংশ।
দ্বিতীয় সেরো-সার্ভেটি করা হয়েছিল দেশের ৭০ জেলার ৭০০ গ্রাম ও ওয়ার্ডে। রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছিল ২৯,০৮২ জনের। করা হয়েছিল IgG অ্যান্টিবডি পরীক্ষা। তাতেই উঠে এসেছে ওই তথ্য।