নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থেকে করোনা থেকে রেহাই পাননি দুনিয়ায় এইসব তাবড় রাজনীতিবিদরা
গোটা দুনিয়ায় এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭,৭৪০,৫০৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪,২৮,৩৪২ জনের। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তার পরেই রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, ব্রিটেন, স্পেন, ইটালির মতো দেশ। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস ছেড়ে কথা বলেনি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা রাজনীতিবিদদেরও। দেখে নিন দুনিয়ায় যেসব রাজনীতিবিদ কোভিড পজিটিভ হয়েছে তাদের তালিকা।
ব্রিটেন: ঘেরাটোপের মধ্যে থেকেও করোনা থেকে রেহাই পাননি ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস। গত ২৫ মার্চ তাঁর কোভিড পজিটিভ আসে। ১২ মার্চ তিনি দেখা করেছিলেন মা এলিজাবেথ-২ এর সঙ্গে। তাঁকেও নিজের প্রাসাদ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ১ এপ্রিল কোভিড টেস্টে নেগেটিভ রেজাল্ট আসে চার্লসের। কোভিড আক্রান্ত হন খোদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় গোটা দেশে। শেষপর্যন্ত ২৭ মার্চ তারঁ করোনা টেস্টের ফল নেগেটিভ আসে। পরে ২৯ মার্চ তিনি ফের কাজ যোগ দেন। সংবাদমাধ্যমের খবর করোনা পজিটিভ রোগীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন বরিস জনসন। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাদিন ডোরিস ও স্বাস্থ্য সচিব ম্যাথু হ্যানককও করোনা আক্রান্ত হন।
ইরান: একসময়ে চিনের পরই সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত ছিল ইরান। দেশের সংসদের ২৪ জন সদস্য করোনা আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন ফাতেমি রাহবার ও মহম্মদ আলি রামেজানি।
কানাডা: করোনা আক্রান্ত হন খোদ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন টুডোর স্ত্রী সোফি টুডো। ফলে প্রধানমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভায় যাদের সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন তাঁদের আইসোলেশনে যেত হয়।
ইজারায়েল: করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াকভ লিজম্যান। ফলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই কিছুটা ধাক্কা খায়। ২০ এপ্রিল তিনি করোনামুক্ত হন।
ইটালি: করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে ইটালি। সেখানে করোনা আক্রান্ত হন লম্বারডির সিনে মিউনিসিপ্যলিটির মেয়র জিওরডিও ভালোটি। রবার্ট স্টেলা নামে আরও এক রাজনীতিক করোনায়া আক্রান্ত হন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: দেশের একাধিক রাজনৈতির ব্যক্তিত্ব করোনায় আক্রান্ত হন। নিউ ইয়ার্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির ২ সদস্য চার্লস ব্যারন ও হেলেন উইনস্টেইন করোনায় আক্রান্ত হন। রিপাবলিকান সেনেটের র্যান্ড পল করোনায় কাবু হন। রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য মারিও দিয়াজ বালাট করোনা আক্রান্ত হন।
অস্ট্রেলিয়া: দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি পিটার ডটন করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। মার্চের শেষদিকে তিনি করোনা মুক্ত হন।
রাশিয়া: করোনা আক্রান্ত হন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিসুরতিন।
পাকিস্তান: ক্রমশ খারাপ হচ্ছে পাকিস্তানের করোনা পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই সেখান আক্রান্ত হয়েছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাক্কান আব্বাসি, শাহবাজ শরিফ।
ভারত: করোনা আক্রান্ত হয়ে দিল্লির ম্যাক্ হাসপাতালে ভর্তি বিজেপির নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বাংলার তৃণমূল নেতা সুজিত বসু। তবে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।