সরকারের অনুরোধই সার, মজুত করার হিড়িকে নিমিষে ফাঁকা দোকান, কেঁদে ফেললেন বৃদ্ধা
করোনা সতর্কতার জেরে এখন মানুষের ভিড় মুদিখানা দোকানের সামনে। অনেকেই চাইছেন লকডাউন এর আগের পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং খাবার-দাবার মজুদ করে রাখতে। সরকারের নিষেধ লাটে তুলে প্রতিদিন সকাল সকাল স্থানীয় বাজার এবং মুদিখানার দোকানের সামনে লম্বা লাইন। তবে ছবিটা যে শুধুই আমাদের দেশের তা নয়। বিভিন্ন দেশের মানুষ সকাল-সকাল লম্বা লাইন দিচ্ছেন মুদিখানার দোকানের সামনে।
হাওয়াইয়ের সুপার মার্কেটের সামনেও ভিড় ক্রেতাদের। করোনা সতর্কতায় সবথেকে বড় হাতিয়ার সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং। কিন্তু, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করতে গিয়ে ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে লাইন দিচ্ছেন অনেকেই। ফলে সুরক্ষা বিধি যেমন লঙ্ঘন হচ্ছে, চাপ বাড়ছে প্রশাসনেরও।
লস এঞ্জেলসের মত সদা ব্যস্ত শহরে করোনা সতর্কতার জের। বন্ধ বেশিরভাগ দোকানপাট। তবে খোলা মুদিখানার দোকান। সেখানেই সকালে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় জিনিস মজুদ করে রাখার ভিড় সেখানেও।
শুধু লসএঞ্জেলসে নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বড় শহরেই ছবিটা একই রকম। সকাল থেকেই ব্যাগ, ট্রলি নিয়ে লম্বা লাইন আতঙ্কগ্রস্ত ক্রেতাদের। লক ডাউন এর সময় খাবারদাবার ফুরিয়ে যাবার আশঙ্কায় আগে থেকে মজুত করার হিড়িক সর্বত্র।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সুপার মার্কেটে হতাশ ভাবে খালি সেলফের দিকে তাকিয়ে থাকায় এই বৃদ্ধার ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আশ্ঙকার ফলে আগে থেকে মজুত করা, বা Panic Buying এর ফলে প্রয়োজন না থাকলেও বেশি পরিমাণে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন অনেকে। তার ফলে যাঁর সত্যিই প্রয়োজন তিনি দোকানে গিয়ে কিছুই পাচ্ছেন না।
সামান্য টয়লেট পেপার কিনতে গিয়েও হাতাহাতি পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সুপার মার্কেটে।